৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় পিংক ফ্লয়েডের গানের স্বত্ব কিনে নিয়েছে সনি

২০০৫ সালে লাইভ এইট কনসার্টে প্রায় ২৪ বছর পর পিংক ফ্লয়েড ব্যান্ডের সদস্যদের পুনর্মীলনী হয়। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
২০০৫ সালে লাইভ এইট কনসার্টে প্রায় ২৪ বছর পর পিংক ফ্লয়েড ব্যান্ডের সদস্যদের পুনর্মীলনী হয়। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের কিংবদন্তী রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের রেকর্ড করা সব গানের স্বত্ব কিনে নিয়েছে সনি। এ জন্য তাদেরকে খরচ করতে হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে ফিনানশিয়াল টাইমস।

এই চুক্তির মাধ্যমে ব্যান্ডের মূল সদস্য রজার ওয়াটার্স, ডেভিড গিলমোর, নিক ম্যাসন, কিবোর্ডিস্ট রিচার্ড রাইট ও মূল গায়ক-গীতিকার সিড ব্যারেটের প্রতিনিধিদের মধ্যে বহু বছরের দর কষাকষি ও আইনি লড়াইর অবসান হয়েছে।

টোকিওতে সনির সদর দপ্তর । ফাইল ছবি: রয়টার্স
টোকিওতে সনির সদর দপ্তর । ফাইল ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘদিন ধরে স্বত্ব বিক্রি নিয়ে ব্যান্ডের দুই মূল সদস্য রজার ওয়াটার্স ও ডেভিড গিলমোরের মধ্যে চলছিল দ্বন্দ্ব। অবশেষে তারা সমঝোতায় পৌঁছালে এই চুক্তি করা সম্ভব হয়।

জানা গেছে, চুক্তির আওতায় পিংক ফ্লয়েডের রেকর্ডকৃত সব গানের স্বত্ব সনি মিউজিক পেলেও এসব গানের কথার স্বত্ব গীতিকারদের কাছেই থেকে যাচ্ছে।

এ ছাড়া পিংক ফ্লয়েড সংক্রান্ত বাকি প্রায় সব কিছুরই মেধাস্বত্ব পেতে যাচ্ছে সনি। পিংক ফ্লয়েডের নাম সম্বলিত পণ্য, গানের ভিত্তিতে তৈরি নাটক—এসব থেকে এখন অর্থ পাবে সনি।

ক্লাসিক পিংক ফ্লয়েড। ছবি: সংগৃহীত
ক্লাসিক পিংক ফ্লয়েড। ছবি: সংগৃহীত

এখনো ব্যান্ডের সদস্যরা বা সনি মিউজিকের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ফাইনানশিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তাদের কাছে এই চুক্তির চূড়ান্ত শর্তগুলো সম্পর্কে তথ্য রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সনি মিউজিক বিভিন্ন ব্যান্ড ও গায়ক-গায়িকার সঙ্গীত ক্যাটালগ কেনার জন্য হাজারো কোটি ডলার খরচ করেছে। তাদের মালিকানায় রয়েছে ব্রুস স্প্রিংস্টিন, বব ডিলান ও কুইনের মতো বড় বড় ব্যান্ড ও শিল্পী। তবে কুইনের ক্ষেত্রে শুধু উত্তর আমেরিকার বাইরে থেকে প্রকাশিত গানগুলোর সত্ত্ব কিনতে পেরেছে সনি।

এ তালিকায় সর্বশেষ সহযোজন সাইকাডেলিক রকের জগতে সবচেয়ে বড় নাম পিংক ফ্লয়েড।

পিংক ফ্লয়েডের সবচেয়ে বিখ্যাত গামের অন্যতম, 'মানি'।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Bank reduces repo auctions

BB’s leniency to blame for ailing banking sector

Banking rules and regulations stipulate a single borrower exposure limit but the banking regulator itself disregarded the rule routinely in the last 16 years.

12h ago