২০২২ সালের সেরা ১০ মিররলেস ক্যামেরা

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

হাই-কোয়ালিটির ছবি তোলার পাশাপাশি আকারে ছোট ও তুলনামূলক হালকা হওয়ার কারণে ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স (ডিএসএলআর) ক্যামেরা বদলে মিররলেস ক্যামেরার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। 

ফলে ক্যামেরা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোও এসএলআর ক্যামেরার বদলে মিররলেস ক্যামেরা উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে।

পেশাদার ও শৌখিন ফটোগ্রাফারদের জন্য উপযোগী এমন ১০টি মিররলেস ক্যামেরা নিয়ে আজকের আলোচনা-

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

অলিম্পাস ওএম-ডি ই-এম১০ মার্ক ফোর 

বৈশিষ্ট্য 
টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: মাইক্রো ফোর থার্ডস 
মেগাপিক্সেলস: ২০.৩ লেন্স  
মাউন্ট: এমএফটি 
স্ক্রিন: ৩ ইঞ্চি ১৮০ ডিগ্রি টাচস্ক্রিন, ১০৩৭কে ডটস 
ভিউফাইন্ডার: ইভিএফ, ২৩৬০কে ডটস 
সর্বোচ্চ শুটিং স্পিড: ৮.৭এফপিএস ম্যাক্স 
ভিডিও রেজুলেশন: ফের-কে  
ব্যবহারযোগ্যতা: প্রারম্ভিক/মাঝিমাঝি মানের কাজের জন্য  

সুবিধা: 
২০ মেগাপিক্সেল সেন্সর। 
৫ এক্সিস ইন বডি স্টাবিলাইজার।

সীমাবদ্ধতা
এপিএস-সি ক্যামেরার তুলনায় ছোট সেন্সর। 
প্লাস্টিকের বডি 

এটি সাশ্রয়ী। যারা প্রাথমিকভাবে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ করতে চান তাদের জন্য উপযোগী। ফ্লিপ-ডাউনের সুবিধা ছাড়াও মাল্টিটাচ স্ক্রিন মনিটর রয়েছে। ভিডিও কোয়ালিটি ফের-কে। 

কিট লেন্স: এম জুইকো ১৪-৪২ এমএম ইজেড 'প্যানকেক' জুম।

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

ফুজিফিল্ম এক্স টি-৪ 

বৈশিষ্ট্য
টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: এপিএস-সি 
মেগাপিক্সেলস: ২৬.১এমপি লেন্স 
মাউন্ট: ফুজিফিল্ম-এক্স 
মাউন্ট মনিটর: ইভিএফ, ৩৬৯০কে ডটস, ১০০ শতাংশ কভারেজ 
গতি: ১১এফপিএস
ভিউফাইন্ডার: ইভিএফ ম্যাক্স  
ভিডিও রেজুলেশ: ফের-কে  
লেভেল: শিক্ষানবিস/পেশাদার 

সুবিধা
২৬.১ মেগাপিক্সেল সেন্সর 
৬০এফপিএস গতিতে ফের-কে কোয়ালিটির ভিডিও 
আইবিআইএস বা ইন-বডি স্ট্যাবিলাইজেশনের সুবিধা 

সীমাবদ্ধতা
তুলনামূলক ব্যয়বহুল 

যদিও বাজারে নতুন ভেঞ্চার হিসেবে এক্স-এইচএইচ-২এস এসেছে। তবে, এখনো এক্স-মাউন্ট ক্যামেরা পরিসরে এইটি (টি-৪) সেরা। কেন না, এর বৈচিত্র্যময় টাচস্ক্রিন সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া, শুটিংয়ে বার্স্ট মোড-এর ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সেটি বেশ দ্রুততর। ছবি তোলার জন্য এটি যথেষ্ট উপযোগী, তার সঙ্গে আছে ফের-কে কোয়ালিটির ভিডিও ধারণের সক্ষমতা। 

কিট লেন্স: ফুজিনন এক্সএফ ১৮-৫০ মিলিমিটার অথবা এক্সএফ ১৬-৮০ মিলিমিটার।

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

নিকোন জেড-৯ 

বৈশিষ্ট্য
টাইপ: মিররলেস
সেন্সর: সিএমওএস 
মেগাপিকক্সেলস: ৪৫.৭ মেগাপিক্সেলস 
অটোফোকাস:  ৪৯৩ পয়েন্ট হাইব্রিড ফেজ/কনট্রাস্ট শণাক্তকরণ 
স্ক্রিন টাইপ: ৩ ইঞ্চি দ্বি-নির্দেশক টাচস্ক্রিন, ১.০৪এম ডটস 
শুটিং স্পিড: ২০এফপিএস 
ভিডিও: এইট-কে 
ব্যবহারযোগ্যতা: পেশাদার 

সুবিধা
এইট-কে ৬০পি ভিডিও রেজুলেশন 
১২০এফপিএস বার্স্ট শুটিং 

সীমাবদ্ধতা 
স্ক্রিন পুরোপুরি সুগঠিত নয়। 

ভিডিও ধারণের জন্য এই ক্যামেরাটি হতে পারে সবার সেরা। এইট-কে ৬০পি-এর ভিডিও ধারণ করা যাবে এই ক্যামেরার সাহায্যে। ১২০এফপিএস-এ নিরবচ্ছিন্নভাবে করা যাবে শুটিং। ৯ ধরনের শণাক্তকরণ ক্ষমতা আছে এর। যেমন- মানুষের চোখ, মুখ, মাথা, উর্ধাঙ্গ, প্রাণীর চোখ, মুখ, মাথা, উর্দ্বাঙ্গ, গাড়ি, ট্রেন, প্লেন বা মোটবাইকের মতো যানবাহন। এটি সনি এ ওয়ান কিংবা ক্যানন ইওএস আর-৩-এর চেয়ে সস্তা।

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

সনি এ ওয়ান

বৈশিষ্ট্য 
টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: ফুল ফ্রেম 
মেগাপিক্সেল: ৫০.১এমপি লেন্স 
মাউন্ট: সনি এফই 
স্ক্রিন: ৩ ইন-টিলটিং, ১.৪৪এম ডটস  
ভিউফাইন্ডার: ইলেকট্রনিক, ৯.৪৪এম ডটস 
বার্স্ট স্পিড (সর্বোচ্চ): ৩০এফপিএস 
ভিডিও রেজুলেশন: এইট-কে 
ব্যবহারযোগ্যতা: পেশাদার 

সুবিধা 
৫০ মেগাপিক্সেল রেজুলেশন। 
এইট-কে ভিডিও রেজুলেশন। 
৩০এফপিএস-এ একটানা শুটিং করা সম্ভব। 

সীমাবদ্ধতা 
অত্যধিক ব্যয়বহুল।

এখানে গতি, রেজুলেশন ও সক্ষমতার এক অপূর্ব সমন্বয় পাওয়া যাবে।

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

প্যানাসনিক লুমিক্স এস৫ 

বৈশিষ্ট্য 
টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: ফুল ফ্রেম 
মেগাপিক্সেল: ২৪.২এমপি লেন্স  
মাউন্ট: এল মাউন্ট 
মনিটর: ৩ ইঞ্চি ভ্যারি-অ্যাঙ্গেল টাচস্ক্রিন, ১.৮৪এম ডটস
শুটিং স্পিড: ৭এফপিএস (যান্ত্রিক শাটার), সিক্স-কে ফটো মোড (১৮ এমপি, ৩০ এফপিএস)
ভিউফাইন্ডার: ইভিএফ, ২.৩৬এম ডটস 
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজুলেশন: ৪-কে/৬০পি 
ব্যবহারযোগ্যতা: শিক্ষানবিস/শৌখিন 

সুবিধা 
হালকা ও সুগঠিত 
অতিরিক্ত প্রশস্ত ২০-৬০এমএম কিট লেন্স 

সীমাবদ্ধতা
এএফ শুধু কনট্রাস্ট মোডে
ব্যয়বহুল

এই ক্যামেরার সুবিধা হলো হালকা ও সহজে বহনযোগ্য। এটি লুমিক্স এস১ কিংবা এসআর এর চেয়ে ওজনে ৩০০ গ্রাম কম। 

কিট লেন্স: লুমিক্স ২০-৬০ এমএম

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

ফুজিফিল্ম এক্স-এস১০ 

বৈশিষ্ট্য
টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: এপিএস-সি 
মেগাপিক্সেলস: ২৬.১এমপি লেন্স  
মাউন্ট: ফুজিফিল্ম এক্স 
স্ক্রিন: ৩ ইঞ্চি ভ্যারি-অ্যাঙ্গেল টাচস্ক্রিন, ১.০৪এম ডটস 
ভিউফাইন্ডার: ইভিএফ, ২৩৬০কে ডটস 
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিড: ৩০/৮এফপিএস 
সর্বোচ্চ ভিডিও রেজুলেশন: এইট-কে 
ব্যবহারযোগ্যতা: মাঝারি মানের /পেশাদার 

সুবিধা 
আকারে ছোট, নির্মাণের ধরণ চমৎকার। 
টাচস্ক্রিনের বৈচিত্র্য ও ইন-বডি ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার। 

সীমাবদ্ধতা:
মোড ডায়াল প্রথাগত 

যারা শিক্ষানবিস বা ধাপে ধাপে দক্ষ হয়ে উঠতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে সবচেয়ে ভালো ক্যামেরা। আইবিআইএস সুবিধা থাকায় ও সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় কাজে সুবিধাজনক। 

কিট লেন্স: 
ফুজিনন এক্সএফ ১৮-৫৫এমএম 
ফুজিনন এক্স-এফ ১৬-৮০এমএম 

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

নিকন জেড এফসি

বৈশিষ্ট্য
টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: এপিএস-সি সিএমওএস 
মেগাপিক্সেল: ২০.৯এমপি 
মনিটর: ৩.২ ইঞ্চি টিলটিং, ১.০৪এম ডটস 
একটানা শুটিং সক্ষমতা: ১১এফপিএস 
ভিউফাইন্ডার: ইভিএফ, ২.৩৬এম ডটস 
সর্বোচ্চ রেজুলেশন: ফোর-কে ইউএইচডি (৩০পি) 
ব্যবহারযোগ্যতা: প্রারম্ভিক/শৌখিন 

সুবিধা
চমৎকার লুক 
কনট্রাস্টগুলো ডায়ালভিত্তিক। 

সীমাবদ্ধতা 
একই সুবিধার জেড-৫০ কম মূল্যের। 
ডিএক্স-জেড মাউন্ট লেন্সের সংখ্যা কম।

এটির সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো এর রেট্রো-স্টাইলে। সাবেকি ধরনের লুকে আকৃষ্ট হয়ে অনেকে কিনে ফেলতে পারেন। তবে সে তুলনায় সুবিধা একটু অপ্রতুল। 

কিট লেন্স: নিক্কর জেড-ডিএক্স ১৬-৫০এমএম

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

নিকন জেড-৫ 

বৈশিষ্ট্য 

টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: ফুল ফ্রেম সিএমওএস 
মেগাপিক্সেল: ২৪.৩এমপি লেন্স 
মাউন্ট: নিকন জেড 
মনিটর: ৩.২ ইঞ্চি টিলটিং টাচস্ক্রিন, ১০৪০কে ডটস 
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিড: ৪.৫এফপিএস 
ভিউফাইন্ডার: ইভিএফ, ৩৬৯০কে ডটস, ১০০ শতাংশ কভারেজ ০.৮ গুণ ম্যাগনিফিকেশন 
ভিডিও রেজুলেশন: ফোর-কে ইউএইচডি (৩০পি) 
ব্যবহারযোগ্যতা: উৎসাহী/শৌখিন 

সুবিধা 
ফুল ফ্রেম ক্যামেরা হিসেবে আনুপাতিকভাবে স্বল্পমূল্য।
ডাবল কার্ড স্লট। 

সীমাবদ্ধতা 
এফপিএস বার্স্ট মাত্র ৪.৫এফপিএস। 
ফোর-কে ভিডিও ক্রপড

এটি মূলত যারা প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শিখতে চান তাদের জন্য উপযোগী। তবে পেশাগত কাজের জন্য তেমন সুপারিশযোগ্য নয়।

কিট লেন্স: নিক্কর জেড ২৪-৫০ মিলিমিটার, নিক্কর জেড ২৪-৭০ মিলিমিটার এফ/৪ 

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

প্যানাসনিক লুমিক্স জি-১০০ 

বৈশিষ্ট্য 

টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: মাইক্রো ফোর থার্ডস  
মেগাপিক্সেল: ২০.৩এমপি লেন্স 
মাউন্ট: এমএফটি 
স্ক্রিন: ৩ ইঞ্চি, ভ্যারি অ্যাঙ্গেল, ১৮৪০ কে ডটস 
ভিউফাইন্ডার: ইভিএফ, ৩.৬৯এম ডটস 
সর্বোচ্চ শুটিং স্পিড: ১০এফপিএস 
ভিডিও রেজুলেশন: ফোর-কে ইউএইচডি 
ব্যবহারযোগতা: প্রারম্ভিক/উৎসাহী 

সুবিধা 
ভিডিও ও স্থিরচিত্রের মান ভালো।
অডিও রেকর্ডিংয়ের সক্ষমতা ভালো। 
ইভিএফ উজ্জ্বল ও এলসিডি সুগঠিত। 

সীমাবদ্ধতা 
ইন বডি স্ট্যাবিলাইজিং-এর সুবিধা নেই। 
কোন হেডফোন জ্যাক বা ইউএসবি সুবিধা নেই। 

যারা ভ্রমণ বিষয়ক ছবি-ভিডিও, ভ্লগিং করে থাকেন কিংবা কেবল শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য এটি বেশ উপযোগী হতে পারে। 

কিট লেন্স: লুমিক্স-জি ১২-৩২ মিলিমিটার 'প্যানকেক' জুম 

ছবি: ডিজিটাল ক্যামেরাওয়ার্ল্ড.কম

ক্যানন ইওএস আর৫ 

বৈশিষ্ট্য

টাইপ: মিররলেস 
সেন্সর: ফুল ফ্রেম
মেগাপিক্সেল: ৪৫এমপি 
লেন্স মাউন্ট: ক্যানোন আরএফ 
মনিটর: ৩.১৫ ইঞ্চি, ভ্যারি-অ্যাঙ্গেল টাচস্ক্রিন, ২১০০কে ডটস 
ভিউফাইন্ডার: ওএলইডি ইভিএফ, ৫৬৯০কে ডটস, ১০০ পার্সেন্ট কভারেজ, ০.৭৬ গুণ ম্যাগনিফিকেশন
কন্টিনিউয়াস শুটিং স্পিড: ১২এফপিএস (যান্ত্রিক শাটার), ২০এফপিএস (ইলেকট্রনিকস)
ভিডিও রেজুলেশন: ৮-কে
ব্যবহারযোগ্যতা: পেশাদার 

সুবিধা 
এই মূল্যের ভেতর সেরা এএফ 
ফুল ফ্রেম ক্যামেরাগুলোর ভেতর সেরা আইবিআইএস প্রযুক্তি 
এইট-কে কোয়ালিটির ভিডিও 

সীমাবদ্ধতা 
একটানা ভিডিও রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। 
স্ট্যান্ডার্ড ফোর-কে ভিডিওর জন্য অত স্বাচ্ছন্দ্যময় না। 

এটি ভিডিও শুট করার জন্য খুব একটা সুবিধার নয়। তবে, ছবি তোলার জন্য অন্যতম সেরা ক্যামেরা। এর ভেতর ইওএস আর-এর গঠন, ইওএস ৫এ-এর কার্যপ্রণালি ও ইওএস-আইডিএক্স-এর পেশাদারিমানের অটো ফোকাস আছে। মূলত স্থিরচিত্র তোলা ও বেসিক ভিডিও ধারণের জন্য সেরা ক্যানন ক্যামেরা।

 

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago