লেবাননে হামলার পূর্ণ অধিকার ইসরায়েলের আছে: যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স

গাজায় টানা ১১ মাস নিরবচ্ছিন্ন হামলার পর ইসরায়েলের মনোযোগ এখন লেবাননের দিকে। শুরুতে ডিভাইসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা শুরুর পর তীব্র বিমান হামলা এবং পরবর্তীতে স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এ ধরনের হামলা চালানোর পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অফ ইসরায়েল।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র বলেন, নিয়ম মেনেই ইসরায়েল সীমিত আকারে লেবাননের ভূখণ্ডে স্থল অভিযান শুরু করেছে।

'নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার ও বেসামরিক মানুষদের তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার অধিকার অনুযায়ী ইসরায়েল এই উদ্যোগ নিয়েছে', বলেন তিনি।

মুখপাত্র আরও জানান, 'আমরা হিজবুল্লাহ ও ইরান-সমর্থিত সকল জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নিজেদের প্রতিরক্ষা দেওয়া অধিকারকে সমর্থন করি।'

'নি:সন্দেহে, এ ধরনের অভিযান ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখব'।

মুখপাত্রের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'পরিশেষে, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে টেকসই স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা অর্জনে কূটনৈতিক সমাধানের বিকল্প নেই।'

হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এই মহল্লাতেই নিহত হন। ছবি: এএফপি
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এই মহল্লাতেই নিহত হন। ছবি: এএফপি

এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন লেবাননে হামলা চালানোর বিষয়ে পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউসের সমর্থনের বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন।

তিনি বলেন, 'ইসরায়েলের উচিত লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তের লেবানন অংশে হিজবুল্লাহর সব ধরনের অবকাঠামো ধ্বংস করা। এতে নিশ্চিত হবে তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার মতো কোনো হামলা চালাতে পারবে না।'

আজ মঙ্গলবার লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে স্থল হামলা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে 'সীমিত' অভিযান শুরু করেছে।

ইরানে হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুতে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি
ইরানে হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুতে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছে, যে তারা সীমান্তের কাছাকাছি দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমিত স্থল অভিযান শুরু করেছে। তাদের দাবি, এসব জায়গা থেকে হামলা হলে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা হুমকির মুখে থাকেন।

গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলও। সম্প্রতি এ হামলা ব্যাপক হারে বাড়িয়েছে দেশটি। এতে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহসহ শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা নিহত হয়েছেন।

দুই সপ্তাহে দেশটিতে এ নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ৬ হাজার আহত হয়েছে। হামলার মুখে লেবাননের প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus calls for united action to tackle climate crisis

Focuses on youth potential for green growth and sustainability

1h ago