যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ৪, বন্দুকধারী ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আপালাচি স্কুলে ১৪ বছর বয়সি এক ছাত্রের গুলিতে দুই শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বন্দুকধারীর পাশাপাশি পুলিশ তার বাবাকেও গ্রেপ্তার করেছে।
এই হামলায় আরও নয় জন আহত হন।
জর্জিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের সন্দেহ বুধবারের বন্দুক হামলার ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তর বাবারও যোগ আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জর্জিয়া ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (জিবিআই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছে, অভিযুক্তের ৫৪ বছর বয়সি বাবার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মর্ডার বা হত্যা এবং বাচ্চাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা ও অনিচ্ছাকৃত নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জিবিআই ডিরেক্টর ক্রস হোসে বলেছেন, বাবা জানতেন যে তার ছেলের কাছে অস্ত্র আছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তার ছেলের কাজের সঙ্গে বাবাও যুক্ত। তার কারণ, বাবা ছেলের অস্ত্র রাখাকে অনুমোদন করেছিলেন।
২০২৩-এর তদন্ত
এই অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে ২০২৩ সালেও স্কুলে গুলি চালানোর হুমকি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু তখন তাদের গ্রেপ্তার করার মতো কোনো কারণ খুঁজে পাননি বলে এফবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের তদন্তে বাবা জানিয়েছিলেন, তার কাছে শিকার করার বন্দুক আছে, কিন্তু তার ছেলে সেগুলোর নাগাল পায় না। ছেলেও জানিয়েছিল, সে অনলাইন হুমকি দেয়নি।
জ্যাকসন কাউন্টির মেয়র জানিয়েছেন, তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে রিপোর্ট পান, কিন্তু তার ভিত্তিতে সেই সময় বাবা-ছেলেকে অভিযুক্ত করার মতো কিছু ছিল না।
বাচ্চাদের হাতে অস্ত্র থাকলে বাবা-মা দায়ী
গত এপ্রিলে মিশিগানে স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনায় আদালত সিদ্ধান্ত দেয়, স্কুলে কোনো শিক্ষার্থী বন্দুক হামলা চালালে সে অপরাধের জন্য বাবা-মাও আইনগতভাবে দায়ী থাকবেন।
সেবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের আদালত এভাবে সন্তানের হামলার জন্য বাবা-মা'র দায়ী থাকার বিষয়টি জানিয়েছিল।
২০২১ সালে অক্সফোর্ড হাইস্কুলে একজন কিশোর গুলি করে তার চার সহপাঠীকে হত্যা করেছিল। পরবর্তীতে তার বাবা-মার কারাদণ্ড হয়েছিল।
সে সময়য় জুরিদের বক্তব্য ছিল, বাবা-মা বাড়িতে বন্দুক সুরক্ষিত রাখতে পারেননি। তাদের ছেলে মানসিক দিক থেকে অস্থির জানার পরেও তারা সেই কাজ করেননি। বিশেষজ্ঞ ও আগ্নেয়াস্ত্র সুরক্ষা নিয়ে প্রচারকারীদের বক্তব্য, ওই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর ফলে স্কুলে সহিংসতার দায় বাবা-মার উপরও যে থাকবে, সেটা আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে।
এপি, রয়টার্স
Comments