চীনের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন বিধিনিষেধ, ‘অসন্তুষ্ট’ বেইজিং

চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নিরন্তর টানাপড়েন। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নিরন্তর টানাপড়েন। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তার দায়ে নতুন করে চীনের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই উদ্যোগে 'চরম অসন্তোষ' ও 'নিন্দা' জানিয়েছে চীন।

আজ রোববার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় এএফপি।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, 'চীন যুক্তরাষ্ট্রকে এই অন্যায্য কার্যক্রম শিগগির বন্ধের অনুরোধ জানাচ্ছে। চীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বেইজিং।'

ওয়াশিংটন শুক্রবার ৪০০ ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কিয়েভের বিরুদ্ধে হামলায় মস্কোকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে। এই তালিকায় বেশ কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠানও আছে।

চীন থেকে রাশিয়ায় মাইক্রোইলেকট্রনিক্স ও মেশিনটুল রপ্তানি করে, এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে তালিকায়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত স্যাংশন ফ্যাক্টশিটে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিধিনিষেধের লক্ষ্যবস্তু এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, যারা রাশিয়ার ভেতর ও বাইরে থেকে দেশটিকে পণ্য ও সেবা দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ও পশ্চিমের বিধিনিষেধ এড়াতে সহায়তা করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের নেতা শি জিন পিংয়ের ভিডিও কনফারেন্স। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের নেতা শি জিন পিংয়ের ভিডিও কনফারেন্স। ফাইল ছবি: রয়টার্স

রোববার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এই উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের 'স্বভাবসিদ্ধ একপাক্ষিক বিধিনিষেধ', যা 'আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক নীতিমালা ও প্রচলিত রীতিকে বিঘ্নিত করে, স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও আমদানি-রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং বৈশ্বিক শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে।'

যুক্তরাষ্ট্র ধারাবাহিকভাবে চীনকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতকে কোনোদিক দিয়ে সহায়তা না করার জন্য হুশিয়ারি দিয়ে আসছে। তবে চীন এই যুদ্ধে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দাবি করে এবং তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য পশ্চিমের দেশের মতো তারা কোনো পক্ষকেই এমন কোনো পণ্য বা সেবা দেয় না, যা প্রাণঘাতি।

তবে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র চীন। ন্যাটো সদস্যরা বেইজিংকে এই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ 'পক্ষ' হিসেবে বিবেচনা করে। চীন কখনোই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Shomi Kaiser arrested in Uttara

On October 9, former prime minister Sheikh Hasina, Shomi Kaiser, folk singer and former lawmaker Momtaz Begum, former minister Tarana Halim, and 13 others were sued for attempting to kill a BNP activist -- Syed Hasan Mahmud -- in June 2022

2h ago