কমলার বিরুদ্ধে প্রচারণায় ৬ অঙ্গরাজ্যে ১ কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন দেবেন ট্রাম্প

কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি/কোলাজ
কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি/কোলাজ

বাংলা প্রবাদে বলা হয় 'প্রচারেই প্রসার'। এই আপ্তবাক্যকে ধারণ করে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে এক কোটি ডলারের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে যাচ্ছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। উদ্দেশ্য, প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিসকে পেছনে ফেলা।

গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

জানুয়ারির পর এবারই প্রথম ট্রাম্প বিজ্ঞাপনের পেছনে এই পরিমাণ অর্থ খরচ করতে যাচ্ছেন। সে সময় তিনি নির্বাচনে দলের টিকিট পেতে অন্যান্য রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে লড়ছিলেন।

এ বিষয়ে ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেও সাড়া পায়নি রয়টার্স।

মিনেসোটায় নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
মিনেসোটায় নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

গত সপ্তাহে নির্বাচনী দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর থেকেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও বড় বড় দাতাদের সমর্থন পাচ্ছেন সম্ভাব্য নতুন প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

কমবয়সী ডেমোক্র্যাট সমর্থকরা বাইডেনের প্রতি বিমুখ হলেও জেন জি ও সার্বিকভাবে তরুণ-তরুণীদের কাছে কমলা হ্যারিস অল্প সময়ের মাঝেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

এক সপ্তাহেই কমলার নির্বাচনী তহবিলে জমা পড়েছে ২০ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে খানিকটা বিপাকেই পড়েছেন ট্রাম্প।

বেশ কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প ও তার প্রচারণা দলের মূল কৌশল ছিল 'বুড়ো' বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার ওপর আক্রমণ। বাইডেনের বদলে দৃশ্যপটে অপেক্ষাকৃত কমবয়সী কমলার (৫৯) আগমনে নতুন কৌশল নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাম্পের প্রচারণা দল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ১০০ দিনেরও কম সময় আগে কিছু অনানুষ্ঠানিক মতামত জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে ভালো ফল করেছেন কমলা। বিশেষত, তরুণদের মাঝে।

সোমবার ট্রাম্প (৭৮) তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। এই বিজ্ঞাপনে অতীতের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, প্রচারণা সভা ও বিতর্কে কমলা হ্যারিসের বলা কথাগুলোর সমন্বয়ে তাকে একজন জনবিচ্ছিন্ন অতি উদারপন্থি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে রিপাবলিকানরা।

ম্যাসাচুসেটসে নির্বাচনী প্রচারণায় কমলা। ছবি: রয়টার্স
ম্যাসাচুসেটসে নির্বাচনী প্রচারণায় কমলা। ছবি: রয়টার্স

জবাবে কমলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ আনেন।

কমলার মুখপাত্র সারাফিনা চিতিকা বলেন, 'ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের ঐতিহাসিক ও জনপ্রিয় লক্ষ্যমাত্রাগুলোর বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন'

ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কমলার নামটি সামনে আসার পর থেকেই তিনি ট্রাম্পের একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে এসেছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রচারণার কৌশলের অংশ হিসেবে তিনি এই কথা বলেছেন। এ ছাড়া, রিপাবলিকানদের নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোতে গর্ভপাত-বিরোধী পদক্ষেপের জন্যেও ট্রাম্পকে দোষারোপ করেছেন কমলা।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago