ইউএনআরডব্লিউএর তহবিল বন্ধের সিদ্ধান্ত ‘অমানবিক’: অ্যামনেস্টি

সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি দেশগুলোকে তাদের সিদ্ধান্ত বদলানোর অনুরোধ জানায়। তারা যুক্তি দেয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত ‘২০ লাখ ফিলিস্তিনির দুর্ভোগ আরও বাড়াবে। তারা ইতোমধ্যে গণহত্যা ও পরিকল্পিত দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে।’ 
মিশর-গাজার রাফাহ সীমান্তে ইউএনআরডব্লিউএর ত্রাণবাহী ট্রাক। ছবি: রয়টার্স
মিশর-গাজার রাফাহ সীমান্তে ইউএনআরডব্লিউএর ত্রাণবাহী ট্রাক। ছবি: রয়টার্স

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অভিযোগ করেছে, বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনআরডব্লিউএ) নতুন করে তহবিল বন্ধের সিদ্ধান্ত অমানবিক।

আজ মঙ্গলবার আল জাজিরা এই তথ্য জানায়।

গত শুক্রবার জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত (আইসিজে) গাজায় হত্যা ও ধ্বংস বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। সেদিনই জাতিসংঘের সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে ইসরায়েল।

ইসরায়েল অভিযোগ তোলার পর জাতিসংঘের সংস্থাটিকে নতুন করে তহবিল দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে নয় দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, স্কটল্যান্ড, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ড। গতকাল এই তালিকায় যোগ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের নাম।

সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি দেশগুলোকে তাদের সিদ্ধান্ত বদলানোর অনুরোধ জানায়। তারা যুক্তি দেয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত '২০ লাখ ফিলিস্তিনির দুর্ভোগ আরও বাড়াবে। তারা ইতোমধ্যে গণহত্যা ও পরিকল্পিত দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে।' 

মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, 'ইতোমধ্যে দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে মানবিক ত্রাণ বিতরণে ইউএনয়ারডব্লিউএ'র গুরত্বপূর্ণ ভূমিকাকে আমলে নিয়ে নরওয়ে, স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও বেলজিয়াম জানিয়েছে তারা তহবিল দেওয়া বন্ধ করবে না।'

গাজার রাফাহ অঞ্চলে ইউএনআরডব্লিউএ ময়দা বিতরণ করছে। ছবি: রয়টার্স
গাজার রাফাহ অঞ্চলে ইউএনআরডব্লিউএ ময়দা বিতরণ করছে। ছবি: রয়টার্স

অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড জানান, ইউএনআরডব্লিউএকে তহবিল দেওয়া বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স 'লজ্জাজনক' কাজ করেছে।

অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'ইউএনআরডব্লিউএ ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিরে আসার অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তা সত্ত্বেও ইসরায়েল ও ডানপন্থী সংগঠনগুলো বহু বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে'।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago