গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু

গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সামরিক যানের বহর। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, শুক্রবার ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

রয়টার্স জানায়, হামাসকে নির্মূলে গাজায় টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বোমাবর্ষণের পর এই প্রথম স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

আজ সকালে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিককে দক্ষিণে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় ইসরায়েল। এজন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় তারা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে 'উল্লেখযোগ্য' অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না।

ইসরায়েলের এ ঘোষণার পর গাজা শহর ছাড়তে দেখা যায় অনেক বাসিন্দাকে। তবে হামাস তাদের বাসস্থান ছেড়ে যেতে নিষেধ করেছে। 

ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, 'ফিলিস্তিনি রকেট ক্রুদের ওপর হামলা চালাতে এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের অবস্থানের তথ্য জানতে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাঙ্কের সাহায্যে অভিযান চালিয়েছে।'

রয়টার্স জানায়, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ঠিক কতো বাসিন্দাকে রাস্তায় ছুটতে দেখা গেছে, তা বলা সম্ভব নয়। তবে অনেকে আবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতিও জানিয়েছেন।

হামাস বলছে, তারা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবে।

গাজা শহরের কেন্দ্রে দুই দিন আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ২০ বছর বয়সী মোহাম্মাদ রয়টার্সকে বলেন, 'পালিয়ে যাওয়ার চেয়ে মৃত্যু ভালো।'

'আমি এখানে জন্মেছি এবং এখানেই মরব, পালিয়ে যাওয়া কলঙ্ক', বলেন তিনি।

হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ আল-বোজোম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'আমরা উত্তর গাজা ও গাজা শহরের বাসিন্দাদের বাড়িতে এবং নিজ নিজ অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।'

এদিকে দক্ষিণ লেবাননে কর্মরত অবস্থায় নিজেদের এক ভিডিওগ্রাফার নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে রয়র্টাস। এ ছাড়া, রয়টার্স, এএফপি ও আল-জাজিরার মোট ৬ সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলেও পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে এই তিন গণমাধ্যম। 

হামাসের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে দক্ষিণ লেবাননের আলমা আল-শাব সীমান্তে দেশটির সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গেও গোলা বিনিময় চলছে ইসরায়েলের।
 

 

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago