জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির কোনো আলোচনাই হয়নি: নেতানিয়াহু

‘এ ধরনের কোনো চুক্তি আলোচনার টেবিলেই আসেনি’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও জোর দিয়ে জানিয়েছেন, হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি।

আজ রোববার আল জাজিরা জানায়, শনিবার রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

তিনি জানান, 'এখন পর্যন্ত' কোনো চুক্তি হয়নি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে 'অসংখ্য ভুল প্রতিবেদন' প্রকাশ করা হয়েছে।

'আমি বিষয়টি খোলাসা করে বলতে চাই। এখন পর্যন্ত, কোনো চুক্তি হয়নি। কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি: যখন আপনাদেরকে জানানোর মতো কিছু থাকবে-আমরা সেটা জানাব', বলেন তিনি।

বুধবার রয়টার্স জানায়, হামাস ৫০ জিম্মিকে মুক্ত করার বিনিময়ে ৩ দিন যুদ্ধ বিরতির শর্তে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

এ ধরনের কোনো চুক্তি নেতানিয়াহু নাকচ করেছেন কি না জানতে চাইলে নেতানিয়াহু বলেন, 'এ ধরনের কোনো চুক্তি আলোচনার টেবিলেই আসেনি'।

নেতানিয়াহুর ব্রিফিংয়ের কয়েক ঘণ্টা পর ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও হামাস ৫ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে অসংখ্য নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়ার চুক্তিতে একমত 'হওয়ার কাছাকাছি' পৌঁছেছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেষ মুহুর্তে কোনো বাধা না আসলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। এই আলোচনার বিষয়ে জানেন এমন কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।

তবে হোয়াইট হাউস এই প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করেছে। হোয়াইট হাউস জানায়, এ ধরনের কোনো চুক্তি এখনো হয়নি।

পশ্চিম তীরে ৭ অক্টোবরের পর থেকে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪৮ শিশুও আছে।

অপরদিকে গাজায় প্রাণহানির সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সরকারি মিডিয়া অফিস। গাজার হাসপাতালগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে গাজার নিহতের সংখ্যা শুক্রবারের পর হালনাগাদ করা হয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Iranian President Raisi feared dead as helicopter wreckage found

Iran's state television said Monday there was "no sign" of life among passengers of the helicopter which was carrying President Ebrahim Raisi and other officials

1h ago