গত এক দশকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন যারা
প্রতিবছরের মতো এবারও অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা।
প্রথম দিন চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল ঘোষণার পর আজ ঘোষিত হবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম।
এ ঘটনাকে সামনে রেখে বার্তাসংস্থা এএফপি গত ১০ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
২০২২ সালে কোয়ান্টাম মেকানিক্সে যুগান্তকারী অবদান রাখার জন্য ফ্রান্সের অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ ক্লজার ও অষ্ট্রিয়ার অ্যান্টন জেলিঙ্গার নোবেল পুরস্কার যেতেন।
২০২১ সালে জাপানী বংশোদ্ভুত মার্কিন বিজ্ঞানী সিউকুরো মানাবে ও জার্মান বিজ্ঞানী ক্লাউস হাসেলমান জলবায়ু মডেল নির্মাণ ও ইতালির জর্জিও পারিসিকে পারমাণবিক ও গ্রহীয় পরিসরে ভৌত ব্যবস্থা বা ফিজিক্যাল সিস্টেমের বিশৃঙ্খলা ও ফ্লাকচুয়েশন পরস্পরের ওপর কী প্রভাব ফেলে, তা আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়।
২০২০ সালে ব্ল্যাকহোল নিয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পান যুক্তরাজ্যের রজার পেনরোজ, জার্মানির রেইনহার্ড গেনজেল ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্দ্রেয়া ঘেজ।
২০১৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান তিন বিজ্ঞানী। কানাডীয়-মার্কিন বিজ্ঞানী জেমস পেবলস বিগ ব্যাং এর পর মহাবিশ্বের বিবর্তন নিয়ে গবেষণার জন্য পুরষ্কার পান। এছাড়াও সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহ আবিষ্কারের জন্য সুইজারল্যান্ডের মিশেল মাইয়র ও দিদিয়ে কোলোজ এই পুরষ্কার পান।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার অ্যাশকিন, ফ্রান্সের জেরার্ড মুরু ও কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড লেজার পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য পুরষ্কার পান। তাদের এই গবেষণায় চোখের সার্জারির জন্য আরও উন্নত সরঞ্জাম তৈরি সম্ভব হয়।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি ব্যারিশ, কিপ থর্ন ও রাইনার ভাইস মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আবিষ্কারের জন্য নোবেল জেতেন। প্রায় এক শতাব্দী আগে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতা তত্ত্বে এই তরঙ্গের বিষয়ে পূর্বাভাষ দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালে ডেভিড থাউলেস, ডানকান হলডেন ও মাইকেল কস্টারলিৎজ (যুক্তরাজ্য) সুপারকন্ডাক্টার, সুপারফ্লুইড ও সূক্ষ্ম চৌম্বকীয় ফিল্মের মতো জায়গায় অণু-পরমাণুকে রাখলে সেটি একটি অস্বাভাবিক 'দশায়' রূপান্তরিত হয়। এ বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য তারা এই পুরষ্কার পান।
নিউট্রিনো নিয়ে গবেষণা করে ২০১৫ সালে নোবেল পান জাপানের তাকাকি কাজিতা ও কানাডার আর্থার ম্যাকডোনাল্ড।
২০১৪ সালে এলইডি ল্যাম্প নিয়ে গবেষণায় অবদান রাখার জন্য জাপানের ইসামু আকাসাকি, হিরোশি আমানো ও যুক্তরাষ্ট্রের শুজি নাকামুরা নোবেল পান।
২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের পিটার হিগস ও বেলজিয়ামের ফ্রাসোঁয়া অংল্যার হিগস বোসোন ও পদার্থে কেন ভর সৃষ্টি হয়, সে বিষয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পান।
Comments