৫ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে বিশ্বে সর্বোচ্চ ৮৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
২০২২ সালে বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ মঙ্গলবার বৈশ্বিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি।
এতে জানানো হয়, ২০২২ সালে ২০টি দেশে মোট ৮৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৫৩ শতাংশ বেশি।
ধারণা করা হচ্ছে, চীনে গত বছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংস্থাটি জানায়, এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার সবচেয়ে বেশি। এসব দেশে ২০২১ সালে ৫২০ জন এবং ২০২২ সালে ৮২৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, 'মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, কেননা তারা ২০২২ সালে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার বাড়িয়ে দিয়েছে, যা মানুষের জীবন নিয়ে তাদের নির্মম অবহেলা প্রকাশ করছে। পুরো অঞ্চলজুড়ে মানুষের জীবন নিয়ে নেওয়ার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। সৌদি আরবে এক দিনেই ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। সম্প্রতি ইরানে কেবল প্রতিবাদ করার অধিকার প্রয়োগের জন্য মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।'
উদ্বেগজনকভাবে চীনের বাইরে বিশ্বের মোট মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ৯০ শতাংশই ঘটেছে এই অঞ্চলের মাত্র ৩টি দেশে। ইরানে ২০২১ সালে ৩১৪ জন এবং ২০২২ সালে ৫৭৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সৌদি আরবে ২০২১ সালে ৬৫ জন এবং ২০২২ সালে ১৯৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মিশরে গত বছর ২৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এ সংখ্যা গত ৩০ বছর ধরে রেকর্ড করা তথ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চীন, উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনামসহ বেশ কয়েকটি দেশে গোপনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যদিও এসব দেশ ব্যাপকভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য পরিচিত। এর অর্থ হলো- বিশ্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
চীনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রকৃত সংখ্যা জানা না গেলেও, ইরান, সৌদি আরব, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় 'জল্লাদ' হিসেবে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
Comments