কর্ণাটক

বিজেপির রাজ্যে জয়ের পথে কংগ্রেস

কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কর্ণাটকে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের কথা যাদের মনে আছে তাদের উৎসুক চোখ এবারের ফলাফলেও।

আজ শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দেশটির অর্থনৈতিকভাবে অন্যতম সমৃদ্ধ এই রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনে এগিয়ে থাকার কথা জানিয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বুধবার কর্ণাটকের ২২৪ আসনের বিধানসভায় নির্বাচন হয়। আজ স্থানীয় সময় সকালে ভোট গণনা শুরু হয়ে এখনো তা চলছে।

গণনায় এখন পর্যন্ত  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ১২২ আসনে এগিয়ে আছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি এগিয়ে আছে ৭১ আসনে। ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দল (জেডিএস) ২৫ ও অন্যান্যরা ৬ আসনে এগিয়ে আছে।

ক্ষমতায় আসার জন্য একটি দলের ১১৩ আসন প্রয়োজন।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিজেপিশাসিত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ এস বোমাই নিজ দলের বিজয়ের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন।

কংগ্রেসের অভিযোগ, বিধানসভায় আস্থা ভোটে প্রয়োজনীয় আসন পেতে বাসবরাজ ছোট দলগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া দলের সব বিধায়ককে বেঙ্গালুরু আসতে বলেছেন। সে জন্য বেশ কয়েকটি রিসোর্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিজেপি রসিকতা করে বলেছে, 'কংগ্রেস নিজ দলের বিধায়কদের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।'

গত নির্বাচনে বিজেপি ১০৪ আসন পেয়ে একক বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। সেসময় সরকার গঠনে পর্যাপ্ত আসন আছে এমনটি প্রমাণ করতে গিয়ে দলটি অন্য দলের বিধায়কদের 'কিনে নেওয়ার' বিতর্কে জড়ায়। সেই বিধায়কদের দলে কংগ্রেসের 'দলছুট'রাও ছিলেন। ধরে নেওয়া যায়, সেই স্মৃতি সব দলেরই মনে অমলিন।

সরল হিসাবে 'কংগ্রেসের ঘাঁটি' হিসেবে পরিচিত কর্ণাটকে গত বছরের তুলনায় বিজেপির আসন কমতে পারে ৩৩টি এবং কংগ্রেসের আসন বাড়তে পারে ৪২টি।

এরপরও ভয়ে কংগ্রেস। কেননা, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে বিজেপি অন্য দলের সমর্থন দিয়ে ১০২ আসন জোগাড় করতে পারে। সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় আরও ১১ আসনের বিধায়ক কংগ্রেস থেকে 'ছিনিয়ে নিতে' পারলে আবারও শেষ হাসি হাসতে পারে বিজেপি।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Yunus calls for peace

Yunus condemns attack at Amar Ekushey Boi Mela, orders swift action

In a statement, the chief adviser denounced the violence, emphasising that it goes against the open-minded spirit of the book fair, which honours the language martyrs of February 21, 1952, according to the CA's press wing

4h ago