সুদানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব: সেনা-আধা সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ২৭

সুদানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব
সুদানের রাজধানী খার্তুমের উত্তরে হালফায়া সেতুর কাছে দেশটির সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ১৫ এপ্রিল ২০২৩। ছবি: রয়টার্স

পূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদানে ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় দেশটির সেনা ও শক্তিশালী আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭০ জন।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকালের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর আজ ভোরে সুদানের রাজধানী খার্তুমে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খার্তুমের জনশূন্য রাস্তাগুলোয় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে।

আধা-সামরিক বাহিনীর দাবি তারা প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস, খার্তুম বিমানবন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

তবে সেনাবাহিনী এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। সুদানের বিমানবাহিনী জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ করে বলেছে, তারা আরএসএফ'র ঘাঁটিগুলোয় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে।

এর আগে জঙ্গিবিমানগুলো উড়ে যেতে দেখা গেছে।

আজ ভোরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, দেশটির চিকিৎসকদের সংগঠন সুদানিজ ডক্টরস ইউনিয়ন এক বার্তায় গণমাধ্যমকে বলেছে, খার্তুমসহ সুদানের অন্যান্য অঞ্চলে সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৭০ জন।

তবে হতাহতের মধ্যে বেসামরিক লোকের সংখ্যা সম্পর্কে সংগঠনটি কিছু বলেনি।

খার্তুমের এক বাসিন্দা বাকরি (২৪) গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'এমন সংঘর্ষ আগে কখনই দেখিনি। রাজধানীর আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে।'

সুদানের সেনা কমান্ডার ও দেশটির শাসক জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ আল-বুরহান সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে টেলিফোনে বলেছেন যে, আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফের সদস্যরা খার্তুমের দক্ষিণে সেনাদের 'হয়রানি' করায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

আরএসএফের সদস্যরা সেনা সদরদপ্তরে তার বাসভবনে হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

'তারা যদি বুদ্ধিমান হয় তাহলে তাদের সদস্যদের সরিয়ে নেবে। তা না হলে আমরা খার্তুমসহ অন্যান্য স্থানে সেনা মোতায়েন করব,' যোগ করেন আল-বুরহান।

আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো এই সংঘর্ষের জন্য সেনা কমান্ডার আল-বুরহানকে অভিযুক্ত করে বলেন, 'তিনি আমাদের ওপর এই যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছেন।'

তিনি আশা করেন, 'আগামী কয়েকদিনের মধ্যে' এর শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

3h ago