আদালত ত্যাগ করলেন ট্রাম্প, পরবর্তী শুনানি ৪ ডিসেম্বর

আদালত কক্ষে প্রবেশের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

শুনানি শেষে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফৌজদারি আদালত ত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এক পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে মঙ্গলবার ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্ক যান ট্রাম্প।

আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে আদালত।

মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছানোর পর পুলিশ হেফাজতে থাকা ও শুনানিসহ সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন ট্রাম্প।

তবে আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্পের আইনজীবী টড ব্লাঞ্চ বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট অভিযুক্ত হওয়ার পর 'হতাশ' হয়েছেন এবং 'বিষণ্ণ' আছেন।

মামলার প্রসিকিউশনকে তিনি 'পুরোপুরি রাজনৈতিক' বলে অভিযোগ করেন।

পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে গেলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'অ্যারেস্ট' দেখিয়ে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

এরপর আদালতে শুনানি শুরু হলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

সবগুলো অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ট্রাম্প।

শুনানি শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তার বাসভবনে ফেরার আগে পাম বিচ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

তার বাসভবন মার-এ-লাগোর দিকে যাওয়ার রাস্তার একটি অংশে বাইক র‌্যাক স্থাপন করছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রাম্প তার রিসোর্ট মার-এ-লাগোতে বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল ট্রাম্প যখন নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হন তখন পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেনি। তিনি যখন নিউইয়র্কের দিকে যাচ্ছিলেন, ট্রাম্পপন্থীরা তার গাড়ি বহরের পাশে অবস্থান করছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট আদালতে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হলেন। যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন ট্রাম্প।

সবগুলো অভিযোগে সাজা পেলে, নিউইয়র্কের আইনে একজনের সর্বোচ্চ ১৩৬ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

The wrongs of past 15yrs must be righted

The Daily Star spoke to BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir on a host of issues ranging from elections to media freedom 

15h ago