পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে

পাকিস্তান, মূল্যস্ফীতি, পাকিস্তানের অর্থনীতি, সংবেদনশীল মূল্য সূচক, ভোক্তা মূল্য সূচক,
পাকিস্তানের করাচিতে একটি দোকানে মশলা ও মুদিসামগ্রী বিক্রি করছেন একজন দোকানদার। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের সাপ্তাহিক ও মাসিক মূল্য সূচক ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।

পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় পূর্বাভাস দিয়েছে, আগের নীতিগত সিদ্ধান্তগুলোর দ্বিতীয় দফা বাস্তবায়নের প্রভাবে তেল ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির হার এবং আইএমএফ তহবিল সুরক্ষিত করতে রুপির অবমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাসিক আপডেট ও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-  দ্বিতীয় দফার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাও মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াবে।

ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংবেদনশীল মূল্য সূচকে (এসপিআই) পরিমাপ করা স্বল্পমেয়াদী মূল্যস্ফীতির হার গত সপ্তাহে রেকর্ড ৪৬ দশমিক ৬৫ শতাংশে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ভোক্তা মূল্য সূচকে (সিপিআই) পরিমাপ করা মাসিক মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে। যা গত ৬ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তবে গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এসপিআই কিছুটা কমে ৪৫ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, মার্চ মাসের সিপিআই এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান, বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন এবং পেট্রোল ও ডিজেলের দামের ঊর্ধ্বমুখী সমন্বয়ের কারণে মূল্যস্ফীতি উচ্চ স্তরে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়াও, বন্যার কারণে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ক্ষতি এখনো কাটিয়ে ওঠা যায়নি, বিশেষ করে প্রধান কৃষি ফসলের।

ফলস্বরূপ, অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং সেই ঘাটতি অব্যাহত আছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।

এছাড়া, স্থিতিশীল কর্মসূচি গ্রহণে বিলম্বজনিত কারণে সৃষ্ট দুর্দশা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়েছে। এ কারণে মূল্যস্ফীতির আরও বাড়তে পারে।

দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, রমজান মাসে প্রচুর কেনাকাটার কারণে চাহিদা-সরবরাহের ব্যবধান বাড়তে পারে। ফলে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে। যদিও সরকার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক ছিল এবং প্রয়োজনীয় পণ্যের নির্বিঘ্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সব প্রাদেশিক সরকারকে জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhanmondi 32 ripped apart

Protesters last night torched and tore down parts of the Dhanmondi-32 residence of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, after calls in social media for demolishing what they said was a “pilgrimage site of fascism”.

5h ago