পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত কে এই মারিয়া লভোভা–বেলোভা

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেকসেইয়েভনা লভোভা–বেলোভা। ছবি: রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়

ভ্লাদিমির পুতিন ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেকসেইয়েভনা লভোভা–বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তার বিরুদ্ধেও ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অঞ্চলগুলো থেকে শিশুদের বেআইনিভাবে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার সঙ্গে পুতিন ও মারিয়া লভোভা–বেলোভা জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই পরোয়ানা জারি করা হয়।

বিবিসি জানায়, মারিয়া লভোভা–বেলোভা ১৯৮৪ সালে রাশিয়ার পেনজায় জন্মগ্রহণ করেন। 

২০২১ সালের অক্টোবর থেকে তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে তিনি পেনজা ওব্লাস্টের সিনেটর ছিলেন।

এদিকে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর রুশ রিয়া নভোস্তি নিউজ এজেন্সিকে মারিয়া লভোভা–বেলোভা বলেছেন, 'এটি দুর্দান্ত যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের দেশের শিশুদের সাহায্য করার জন্য এই কাজের প্রশংসা করেছে।'

'কেননা, আমরা তাদের যুদ্ধের মাঠে ছেড়ে দেইনি, আমরা তাদের বের করে নিয়ে এসেছি, তাদের জন্য ভালো অবস্থান তৈরি করেছি, তাদের ভালোবাসা ও যত্ন দিয়ে ঘিরে রেখেছি', যোগ করেন তিনি।  

এর আগে, মারিউপোল থেকে ১৫ বছর বয়সী এক ছেলেকে দত্তক নেওয়ার দাবি করেছিলেন মারিয়া লভোভা–বেলোভা। গত মাসে পুতিনকে বলেছিলেন, এর জন্য 'আপনাকে ধন্যবাদ'। 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ইউক্রেনের শিশুদের রাশিয়ায় স্থানান্তরের কথাও জানিয়েছিলেন।

সেসময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বাজে ও অনৈতিক কথা বলা এবং ইউক্রেনের জাতীয় সংগীত গাওয়ার কারণে মারিউপোল থেকে শিশুদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, 'রাশিয়ায় নেওয়ার পর তারা দত্তক নেওয়া পরিবারের সঙ্গে মিশতে শুরু করেছে।'

'এতে প্রথমদিকে তাদের খারাপ লাগলেও, একসময় সেটি রাশিয়ার প্রতি ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয়', যোগ করেন তিনি। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

31m ago