থাই রাজাকে অবমাননার অভিযোগে একজনের কারাদণ্ড
থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নকে অবমাননা করে ক্যালেন্ডার বিক্রির অভিযোগে একজনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
প্রসিকিউটররা জানান, ওই ব্যক্তি রাজাকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য ও গণতন্ত্রপন্থীদের প্রতীক হলুদ বর্ণের রাবারের হাঁসের ছবি সম্বলিত ক্যালেন্ডার বিক্রি করে রাজতন্ত্রের অবমাননা করেছেন।
আজ বুধবার বিবিসি জানায়, নারাথর্ন চোটমানকংসিন নামে ২৬ বছর বয়সী ওই যুবককে থাই রাজাকে অপমানের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
২০২০ সালের পর থেকে 'লেসে-ম্যাজেস্টি' আইনের অধীনে গ্রেপ্তার হওয়া প্রায় ২০০ জনের তিনি একজন। এই আইনের মাধ্যমে ধর-পাকড়কে বাকস্বাধীনতার ওপর ক্র্যাকডউন হিসেবে অভিহিত করেছেন সমালোচকরা।
'রাবারের হাঁস' থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের প্রতীক। রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রতীকটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেন বিক্ষোভকারীরা।
২০২০ সালে গণতন্ত্রপন্থী ফেসবুক পেজ রাতাসাদনে পোস্ট দিয়ে ক্যালেন্ডার বিক্রির অপরাধে নারাথর্ন চোটমানকংসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজনৈতিক ব্যঙ্গাত্মক ওই ক্যালেন্ডারে হাঁসের ছবি ও বিতর্কিত ক্যাপশন ছিল।
প্রসিকিউটররা দাবি করেন যে, ওই হাঁসের ছবি ও বিতর্কিত ক্যাপশনের মাধ্যমে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নকে উপহাস করা হয়েছে। এতে তার মানহানি হয়েছে।
মঙ্গলবার নারাথর্ন চোটমানকংসিনকে প্রথমে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে তার দণ্ডের মেয়াদ এক বছর কমানো হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানায়, এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে, রাজতন্ত্রের অবমাননা বলে মনে হয় এমন যেকোনো কারণে বিরোধীদের শাস্তি দিচ্ছে থাই কর্তৃপক্ষ।
এইচআরডব্লিউর এশিয় অঞ্চলের পরিচালক এলিয়ানি পিয়ারসন বলেন, 'এই সাজা থাই নাগরিকসহ গোটা বিশ্বে একটি বার্তা দেয় যে, অধিকার-সম্মানকারী গণতন্ত্রে পরিণত হওয়ার পরিবর্তে আরও দূরে সরে যাচ্ছে থাইল্যান্ড।'
এ ছাড়াও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিরোধী রাজনৈতিক মতকে দমনে রাজকীয় অবমাননা আইনকে কাজে লাগানোর জন্য থাই সরকারকে অভিযুক্ত করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
Comments