ভূমিকম্প

আঙ্কারায় সরিয়ে নেওয়া হলো ১৯ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে

ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তুরস্কের হাতায় শহর। ছবি: রয়টার্স

তুরস্কে সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল গাজিয়ানটেপ থেকে অন্তত ১৯ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে আঙ্কারায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'ওই ১৯ শিক্ষার্থীকে আঙ্কারায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেখানে আমাদের কনস্যুলেট তাদের দেখভাল করছে।'

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শীতের তীব্রতায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তারা অন্যান্য দেশের কাছে শীতবস্ত্র, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সহায়তা চেয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোমাসি উইংয়ের মহাপরিচালক সাবরিন জানান, ভূমিকম্পে আহত ২ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নুরে আলম ও গোলাম সাঈদ রিংকু আঙ্কারায় চিকিৎসাধীন এবং তারা আশঙ্কামুক্ত।

তিনি বলেন, 'তুরস্কে আমাদের দূতাবাস তাদের পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।'

মঙ্গলবার রাতে তুরস্কে ৬১ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী ও মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। তারা উদ্ধার অভিযানে সহায়তা ও বিভিন্ন মানবিক সহায়তা প্রদান করবে। ভূমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে শোক পালন করেছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, 'সিরিয়ায় একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানোর বিষয়টিও বাংলাদেশের বিবেচনাধীন। তবে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি।'

এদিকে, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও সহায়তায় তিনি অভিভূত।

তিনি বলেন, 'আমরা নগদ সহায়তা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমরা সবাইকে আন্তরিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করছি।'

রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, তুরস্কের সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থা (টিআইকেএ) বাংলাদেশের কাছ থেকে সহায়তা পেতে একটি প্রচারণা শুরু করেছে।

বাংলাদেশি নাগরিকরা তাদের বার্তার মাধ্যমে তুরস্কের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ ধরনের সংহতি আমরা কখনোই ভুলব না।'

জানা গেছে, টার্কিশ এয়ারলাইন্স বিনামূল্যে এসব পণ্য বহন করবে এবং বাংলাদেশ সরকার এই সহায়তা দ্রুত সরবরাহে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দেবে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ভূমিকম্পের পরপরই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর নিখোঁজ আছেন ঢাকায় দায়িত্ব পালন করা তুরস্কের সাবেক এক রাষ্ট্রদূত।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago