ঢামেক হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে অনলাইনেই কাটা যাবে টিকিট

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যে টিকিট কাটতে হয়, তা এখন থেকে অনলাইনেই কাটা যাবে।

এর ফলে টিকিট কাটার দীর্ঘ লাইন থেকে রোগীরা মুক্তি পাবেন বলে আশা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে অনলাইন টিকিট ও আইসিইউসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অনলাইন টিকিটের বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনলাইন টিকিটে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন আউটডোরের রোগীরা। এখন ডাক্তার দেখাতে আগে টিকিটের জন্য সিরিয়াল দিতে হয়, তারপর আবার ডাক্তার দেখানোর সিরিয়াল। অনলাইনেই টিকিট কাটলে টিকিট কাটার সিরিয়ালে যে সময়টা লাগতো, সেটা বাঁচবে।'

তিনি জানান, টিকিটের দাম ১০ টাকাই থাকছে এবং অনলাইনে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করা যাবে বলে জানান তিনি।

জরুরি বিভাগের জন্যও অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে জানিয়ে নাজমুল হক বলেন, 'অনলাইনে যারা টিকিট কাটবেন, তাদের জন্য একটি আলাদা বুথ থাকবে। সেখানে অনলাইনে কাটা টিকিট দেখিয়ে ডাক্তার দেখানো যাবে।'

ঢামেক হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের জন্য আইসিইউ, পেডিয়াট্রিক আইসিইউসহ আরও কিছু ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে।

এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, 'ঢাকা মেডিকেলে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু নতুন সংযোজন হয়। শুধু ঢাকা মেডিকেলে নয়, সারা দেশের হাসপাতালে নতুন নতুন অনেক কিছু সংযোজন হচ্ছে। মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমাতে ঢামেক হাসপাতালে মা ও শিশুদের জন্য আইসিইউ বেড নতুন সংযোজন হলো।'

নতুন বেডসহ ঢামেক হাসপাতালে এখন মোট ১৩৭টি আইসিইউ রয়েছে।

অনলাইন টিকিটের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'রোগী ও রোগীর স্বজনদের সময় বাঁচাতে ঢাকা মেডিকেল ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। রোগীদেরকে আর লাইনে দাড়িয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে না। অনলাইনে টিকিট নিয়ে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago