১ সপ্তাহে মুন্সিগঞ্জে পুরাতন আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা, নতুন আলুর দর ৭০
মুন্সিগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুরাতন আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। গত সপ্তাহেও ৫০ টাকা কেজি দরে পুরাতন আলু বিক্রি হয়েছে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
শহরের উপকণ্ঠে মুন্সীরহাটেও একই চিত্র দেখা যায়। তবে মুন্সীরহাটে এখনো নতুন আলু ওঠেনি। সপ্তাহে দুই দিন এখানে হাট বসলেও সপ্তাহজুড়ে বাজার বসে।
মুন্সিগঞ্জ শহর বাজারের ব্যবসায়ী আলম বলেন, 'কোল্ড স্টোরেজ থেকে পুরাতন আলু ৫২ টাকা দরে কিনেছি, বিক্রি করছি ৫৫-৬০ টাকা দরে।'
তবে অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের নতুন আলু বিক্রি করতে দেখা গেছে। শহর বাজারের হাজী আওলাদ স্টোরের স্বত্বাধিকারী আওলাদ বলেন, 'নতুন আলু আমরা ঢাকা থেকে নিয়ে আসি। আমাদের কেনা পড়েছে ৬২ টাকা কেজি। পরিবহন খরচ যোগ করে বিক্রি করছি ৭০ টাকা কেজি দরে।'
আজ মঙ্গলবার তার দোকানে মূল্য তালিকার বোর্ডে সব পণ্যের মূল্য লেখা থাকলেও আলুর মূল্যের ঘর ফাঁকা দেখা গেছে।
একই বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর মোল্লা জানান, ৭০ টাকা কেজি দরে তিনি নতুন আলু বিক্রি করছেন। তার কাছে পুরাতন আলু নেই।
মুন্সীরহাটের ব্যবসায়ী পাপ্পু সাহা বলেন, 'এদিকে গ্রাম এলাকা। নতুন আলুর চাহিদা কম, তাই বাজারে শুধু পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা।'
নতুন ও পুরাতন আলুর দাম কাছাকাছি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ীরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপকদের ভাষ্য, মৌসুম শেষ হওয়ায় পুরাতন আলুর দাম বেড়েছে।
শহরের উপকণ্ঠে মুক্তারপুর এলাকার কদম রসূল কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক দুলাল বাবু বলেন, 'আমাদের কাছে ২০ হাজার বস্তা বীজ আলুসহ মোট ৮০ হাজার বস্তা আলু ছিল। এখন এক বস্তা আলুও নেই।'
একই কথা জানান মুক্তারপুরের মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আব্দুর রশীদ। তিনি বলেন, 'আমাদের কোল্ড স্টোরেজে ৮৯ হাজার বস্তা আলু ছিল, সব বিক্রি হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য কোল্ড স্টোরে কিছু আলু আছে। তাই দাম একটু বেশি।'
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আলুর দাম বেড়েছে বলে মনে করছেন মুন্সিগঞ্জ জেলা বিপণন কর্মকর্তা এ বি এম মিজানুল হক।
তিনি বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের আগে আলুর দাম বর্তমান দামের চেয়ে ১০ টাকা কম ছিল।'
Comments