গাজীপুরে এখনো কাঁচা মরিচের কেজি ৫০০ টাকা
গাজীপুরে কাঁচা মরিচের পর্যাপ্ত ফলন হলেও, কমছে না দাম। চাহিদার তুলনায় জোগান কম জানিয়ে মুনাফা লোভীরা কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
গাজীপুরের বাজারে ২ কেজি কাঁচা মরিচের দাম ও ৪০ কেজি বা প্রায় ১ মণ ধানের দাম প্রায় সমান।
আজ রোববার দুপুরে সরেজমিনে কাপাসিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ২ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায় টাকা।
একই বাজারে ৪০ কেজি ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়।
তবে লাল হয়ে গেছে এমন মরিচের দাম ৩০০ টাকা কেজি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাবুর গ্রামের বাসিন্দা শাকিল হাসান মোড়ল ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাপাসিয়া বাজারে প্রথম ধাপে ৪০ কেজি ধান ৯০০ টাকায় বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় ধাপে ৯৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।'
বাজারের ক্রেতা নিরাপত্তা প্রহরী ইসমাইল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাজার বেশ চড়া। ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছি ৫০ টাকায়।'
মরিচ চাষি মফিজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি প্রতিবছর অল্প হলেও মরিচ চাষ করি। প্রতি বছর ভালো ফলন হয়। এ বছর পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে। আজ মরিচের পাইকারি বাজার দর ৩০০ টাকা। আমি ইতোমধ্যে অনেক মরিচ বিক্রি করেছি। প্রথম দিকে ২৫০ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। ১ জুলাই ৩৫০ কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেছি।'
বাজারের মরিচ বিক্রেতা আসাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কৃষকের কাছ থেকে আমরা প্রতিদিন ১০ কেজি করে মরিচ কিনি। পাইকারি বাজার মূল্যে মরিচের দাম দেই।'
একই কথা জানান মরিচ বিক্রেতা আশ্রাফুল ও মাসুদ।
বাজারে ধান কিনতে এসেছেন ছানাউল্লা। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, '৪০ কেজি ধানের দাম ৯০০ টাকা আর ২ কেজি কাঁচা মরিচের দামও ৯০০ টাকা।'
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন কুমার বসাক ডেইলি স্টারকে জানান, উপজেলায় মরিচের একাধিক প্রকল্প আছে। কাপাসিয়ায় ভালো মরিচ উৎপাদন হয়েছে।
দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনো এত দাম থাকার কথা নয়। আমি সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়ে কথা বলব।'
গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গাজীপুরে উপজেলা পর্যায়ে কৃষকদের মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী, বালুজুড়ী মরিচের জাতে একাধিক প্রকল্প চলমান আছে।
Comments