বরিশালে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ

কাঁচা মরিচ। ছবি: স্টার

টানা বর্ষণে নষ্ট হওয়া ও ঈদের ছুটিতে সরবরাহ বন্ধের কারণ দেখিয়ে ৫০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বরিশালে।

চাহিদার চেয়ে মরিচের যোগান কম থাকায় অতি মুনাফা-লোভীরা এই দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে মরিচ না থাকার কারণে বেশি দামে কিনে কম লাভে বিক্রি করছেন।

শুক্রবার নগরীর একাধিক ফুটপাতের সবজির দোকান ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সবজির বাজারে চলমান আগুনে উত্তাপ বাড়িয়েছে কাঁচা মরিচ। বুধবার যে মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি, সেই মরিচ একদিন পরই ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতাদের দাবি, ১৫ দিন আগেও এই মরিচের কেজি ছিল মাত্র ৫০ টাকা।

বর্তমানে ঈদ চলমান হওয়ায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় মরিচ না আসা ও বৃষ্টির কারণে পঁচে যাওয়ায় মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

নগরীর কাউনিয়ার বাসিন্দা ক্রেতা মোতাহার উদ্দিন বলেন, বেতন পাই ৯ হাজার টাকা আর কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা। দাম শুনে কাঁচা মরিচ না কিনে শুকনা মরিচ কিনে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যান্য সবজির দামও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে নানান অজুহাতে কাঁচা মরিচেরও দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে লাফিয়ে দাম বৃদ্ধি হতো না।

কলেজছাত্র আরাফাত বলেন, মেসে রান্না করে খাই। সবজি কিনতে এসে দেখি টমেটোর কেজি ২৫০ আর কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা। তাই কাঁচা মরিচ না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ১৫ দিন আগে এই কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একদিন আগেও ছিল ৫০০ টাকা, সেই কাঁচা মরিচ এক দিনের ব্যবধানে ৬০০ টাকা হয়ে গেছে।

বরিশাল নগরীর জেলখানার মোড় এলাকার সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রহমত বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচ নেই। যে কয় কেজি ওঠে, তার দামও অনেক বেশি। ৫০০ টাকায় এক কেজি পাইকারি মরিচ কিনে এনেছি। ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য দাম চাইছি, কেউ কিনছে না।

তিনি আরও বলেন, দাম শুনে চলে যাচ্ছে। মরিচের দাম বেশি তা প্রমাণ করার জন্য ভাউচার দেখালেও ক্রেতারা বিশ্বাস করছেন না। মরিচ কিনেও বিপদে পড়েছি।

আরেক সবজি বিক্রেতা কামাল উদ্দিন বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে মরিচ নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ চলছে। তাই বাজারে কাঁচা মরিচ আসছে না। আমরা সামান্য লাভ করি। বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করি। আমাদের কিছু করার নেই।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচ পঁচে গিয়েছে। এ ছাড়া বন্ধের কারণে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজি আসছে না। আমাদের নিয়মিত কর্মসূচির আওতায় বাজার মনিটরিং চলছে।

Comments

The Daily Star  | English
Rohingya children

Education at Rohingya camps in disarray

The funding shortfall stems largely from a drastic reduction in humanitarian aid by the US

10h ago