নতুন চাল বাজারে এলেও কেজিতে বেড়েছে ২-৩ টাকা

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আটাশ (পুরাতন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ছবি: স্টার

আমন ধানের চাল ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে এলেও প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। অন্যদিকে কয়েক দিনের ব্যবধানে চিনিগুঁড়া চালের দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

আজ শনিবার সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি আটাশ চাল (পুরাতন) ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং নতুন ধানের আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৪ থেকে ৭৬ টাকার মধ্যে। নাজিরশাইল চাল মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৮২ থেকে ৮৫ টাকায়। চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়।

চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে আটাশ চালের কেজি ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা। সেপ্টেম্বরে শুরুতে তা হয় ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা। মিনিকেট ছিল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। তা বেড়ে সেপ্টেম্বরে শুরুতে হয় ৭২ থেকে ৭৪ টাকা। প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল আগস্টের শুরুতে ছিল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয় ৮০ থেকে ৮২ টাকা। সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রতি কেজি চিনিগুঁড়া চাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হতো ১১০ টাকা ও খুচরা বাজারে ১২৫ টাকায়।

ঢাকা রাইসের স্বত্বাধিকারী মো. সায়েম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন আটাশ চালের ভাত তেমন ভালো হয় না। তাই পুরাতন আটাশের চাহিদা একটু বেশি। এ কারণে হয়তো বা দাম বাড়তে পারে। তবে কখন কী কারণে যে চালের দাম বাড়ে, তা বলা মুশকিল।'

চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাহার জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাহার মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়ার জন্য কোনো কারণ লাগে না। কেন দাম বাড়ছে, আমরাও সেটা জানি না। কারো কাছে কোনো সঠিক উত্তরও পাওয়া যায় না। দেশ এভাবেই চলছে।'

কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রিয় রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী পাইকারি চাল বিক্রেতা মো. লোকমান হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিল মালিকরা বলছে চিনিগুঁড়া চাল যে ধান থেকে হয়, সেটির উৎপাদন নাকি এ বছর কম। তাই চালেরও দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেশি। অন্যদিকে পুরাতন আটাশ চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো এর সরবরাহ কমে যাচ্ছে।'

মিনিকেট চাল বিষয়ে তিনি বলেন, 'মিনিকেট চাল নতুন করে আগামী বৈশাখ মাসে আসবে। প্রায় ২ থেকে ৩ সপ্তাহ আগেই দাম বেড়েছে মিনিকেটের। নতুন চাল না আসা পর্যন্ত আর দাম কমারও সম্ভাবনা নেই।'

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বছর ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যে পরিমাণ চাল মজুত থাকার কথা, তার চেয়েও বেশি মজুত আছে। এই সময়ে যে পরিমাণ চাল আমদানি করা প্রয়োজন, সেটিও করা হয়েছে। চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না।'

তাহলে কেন দাম বেড়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'একই প্রশ্ন আমারও। দেশে যে পরিমাণ চাল মজুত আছে, তাতে তো দাম বাড়ার কোনো কারণই নেই।'

দেশে বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Polytechnic students protest Bangladesh 2025

Polytechnic students issue 48-hr ultimatum over six-point demand

Threaten a long march to Dhaka if govt doesn't respond to demands

3h ago