বৃষ্টিতে আরও অবনতি হতে পারে ডেঙ্গু পরিস্থিতি
বৃষ্টি এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র বাড়িয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে খারাপ করে তুলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে এখনই কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
চলতি মাসে ঢাকায় পাঁচবার এবং বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, 'মৌসুমের প্রথম দিকের এই বৃষ্টি অবশ্যই ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটাবে। এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা অবিলম্বে নিতে হবে।'
তিনি বলেন, এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলগুলো চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে স্থানীয় সরকার সংস্থা ও সব জেলার জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া উচিত।
কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর এ চৌধুরী বলেন, কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আক্রান্ত রোগীদের ঠিকানা সংগ্রহ করে এডিস ক্লাস্টারগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চের প্রথম ১৯ দিনে ১৭২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১১১ জন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৬ জন এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২০ জন।
মঞ্জুর এ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তার ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।
সংক্রামিত রোগীদের মশারি ব্যবহার করা উচিত যাতে ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে না যায়। তিনি বলেন, বর্ষায় ক্লাস্টারগুলো শনাক্ত করা এবং ধ্বংস করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণাও জরুরি।
'দুর্ভাগ্যবশত, এখনও পর্যন্ত এই ধরনের প্রচেষ্টার কোনো লক্ষণ নেই। ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার (এডিস মশাবাহিত রোগ) সেরোটাইপগুলো শনাক্ত করার জন্য কোনো নজরদারিও নেই।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন গতকাল বলেছেন, তিনি সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে ডেঙ্গু রোগীদের সময়মতো চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
'মশা মারার জন্য আমাদের মানসম্পন্ন কীটনাশক কিনতে হবে। আমাদের ভালো চিকিৎসাও দরকার,' তিনি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বলেন।
তিনি যোগ করেন, সবার সম্পৃক্ততা এবং সচেতনতা প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
Comments