মানিকগঞ্জে ডেঙ্গু রোগী ১ মাসে বেড়েছে ৪ গুণ

জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

মানিকগঞ্জে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪ জন, যা আগের মাসের তুলনায় ৪ গুণের বেশি। 

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য এবং বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলায় চলতি বছর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ জন। 

জেলা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের ওয়ার্ডের মেঝেতে, বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৭৪ জন। মাত্র ২৫ দিনের ব্যবধানে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪ জন। 

চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৮০ ডেঙ্গু রোগী, দ্বিতীয় সপ্তাহে ভর্তি হয় ৯৩০ জন এবং তৃতীয় সপ্তাহে ভর্তি হয় ১ হাজার ৯৬ জন। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে।

এ অবস্থায় জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতে, বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) কাজী এ কে এম রাসেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাসপাতালের নতুন ভবনের ৭ তলায় ৬০টি শয্যা এবং পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৪০টি শয্যা নিয়ে ১০০ শয্যার ডেঙ্গু ওয়ার্ডে এখন রোগী ভর্তি আছেন ১৪৫ জন। এ কারণে ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতে, বারান্দায় এমনকি লিফটের সামনের ফাঁকা জায়গায়ও মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'

যোগাযোগ করা হলে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলায় সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। গত ২৫ দিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৪১৭ জন।'

তিনি বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫১ জন, মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন এবং ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন।'

রোগীদের জন্য হাসপাতালে সব ধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, 'এডিস মশার বংশবিস্তার বন্ধ করতে না পারলে এবং মশা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে না পারলে সামনে ভয়াবহ অবস্থা দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আরও গুরুত্ব সহকারে ভাবতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

3h ago