‘সঠিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয় মৃগী রোগী’

চমেকে আয়োজিত সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত

মৃগী রোগের জন্য বৈদ্য বা কবিরাজদের ঝাড়ফুঁকের মতো অপচিকিৎসার আশ্রয় না নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) আয়োজিত সেমিনারে নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান এ আহ্বান জানান।

'আন্তর্জাতিক মৃগী রোগ দিবস' উপলক্ষে চমেকের নিউ কনফারেন্স হলে নিউরোলজি বিভাগ এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনার শেষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা চমেক হাসপাতালের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিউরোলজি বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।

সেমিনারে 'মৃগী রোগের প্রচলিত ধারণা এবং বাস্তবতা' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. হাসানুজ্জামান।

তিনি এ সময় বলেন, 'মৃগী রোগের চিকিৎসায় ঝাড়ফুঁক নয়, অন্য সাধারণ রোগের মতো সঠিক চিকিৎসায় মৃগী রোগীও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারেন। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃগী রোগের উপসর্গ অন্য কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। তাই পরিবারের কারো মৃগী রোগের উপসর্গ দেখা দিলে বৈদ্য কিংবা কবিরাজের অপচিকিৎসা না নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'মৃগী রোগ নিয়ে সমাজে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। কেবল রোগের ইতিহাস ও খিঁচুনির ভিডিও দেখে কোনো রকম দামি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। ৯০ শতাংশ রোগী ওষুধ খেয়ে ভালো থাকেন। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী ২ থেকে ৫ বছর ওষুধ খেয়ে রোগ মুক্ত হয়ে যান। এ ছাড়া, মৃগী রোগে আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের আগে ও গর্ভকালীন সময়ে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে সুস্থ থাকতে পারেন এবং সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে পারেন।'

সেমিনারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. পীযুষ মজুমদারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম, চমেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনোয়ার উল হক শামীম, নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহিতুল ইসলাম, ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, ডা. পঞ্চানন দাশ, ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, ডা. মো. আনোয়ারুল কিবরিয়া, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দীন, কনসালটেন্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

4h ago