চমেক হাসপাতালে আবারও ডায়ালাইসিস রোগীদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের খরচ বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনরা। ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের খরচ বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার আবার হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনরা।

এর আগে গত রোববার একই দাবিতে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।

ডায়ালাইসিসে আগের ফি বহালের দাবিতে আজ সকাল ১১টা থেকে কেবি ফজলুল কাদের রোডে চমেক হাসপাতালের সামনে ব্যানার হাতে বিক্ষোভ করেন তারা।

পরে দুপুর ২টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভরত রোগী ও স্বজনদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, 'বিক্ষোভ চলাকালে প্রায় ৩ ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।'

তিনি বলেন, 'আমরা বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। তখন কিছু বহিরাগত পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে দুপুর ২টার দিকে লাঠিচার্জ করে।'

তবে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান সড়কে বিক্ষোভের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি খোঁজ নিচ্ছি।'

সূত্র জানায়, চমেক হাসপাতালের হেমোডায়ালাইসিস সেন্টারটি ২০১৭ সাল থেকে একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ চুক্তির ভিত্তিতে স্যান্ডর মেডিকেডস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় চলছে।

চুক্তি অনুসারে, কোম্পানিটি ৩১টি ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপন করেছে। চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুপারিশকৃত দরিদ্র রোগীরা প্রতি সেশনে ৪৮৬ টাকায় ডায়ালাইসিস করাতে পারবেন এবং এর জন্য সরকার ভর্তুকি দেবে ২ হাজার ১৮০ টাকা।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, একজন কিডনি রোগীর প্রতি মাসে ৮ বার পর্যন্ত ডায়ালাইসিস করতে হয়। তাদেরকে প্রথম ২ বার ২ হাজার ৭৯৫ টাকা এবং এরপর ৫১০ টাকা করে পরিশোধ করতে হচ্ছে।

তারা জানান, এবার এই ফি আরও বাড়িয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের এখন ১ মাসে প্রথম ৪টি সেশনের জন্য ২ হাজার ৯৩৫ টাকা এবং এরপর থেকে প্রতি সেশনে ৫৩৫ টাকা দিতে হবে।

চমেক হাসপাতাল পরিচালক গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে সাড়ে ৬ হাজার রোগীর ডায়ালাইসিস করার সক্ষমতা থাকলেও, এখন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কিছু সীমাবদ্ধতা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ডায়ালাইসিস ফি বাড়াতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'বিষয়টি অবহিত করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago