কমছে নদ-নদীর পানি, সারা দেশে কমবে বৃষ্টি
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমছে।
আজ শনিবার সকালের তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ভেতরে ও ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চল সিকিম, অরুণাচল, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় বৃষ্টির প্রবণতাও কমেছে।
এদিন সকাল ৯টার তথ্য অনুসারে, সিলেটে কুশিয়ারা নদীর অমরশীদ স্টেশনে পানির সমতল সাত সেন্টিমিটার, শেওলা ও শেরপুর-সিলেট স্টেশনে এক সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জের মারকুলীতে তিন, মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি ২৩, হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি ১৫৫, কুমিল্লায় গোমতীর পানি ২২ ও চট্টগ্রামে ফেনী নদীর পানি ১৪৭ সেন্টিমিটার কমেছে।
তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ফেনীতে মুহুরী নদীর তথ্য জানা যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর মনে করছে, সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে শুরু করবে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামী ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ফেনী, নোয়াখালীর এদিকে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'এখন ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে শুরু করবে। আমরা মনে করছি না, ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি আর খারাপের দিকে যাবে।'
এর আগে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অন্তত পাঁচ দশমিক আট কিলোমিটার উঁচুতে ঘূর্ণিবাতাস রয়েছে।
পাশাপাশি আরেকটি লঘুচাপের প্রভাবে কিছুটা উত্তাল আরব সাগর। যদিও ধারণা করা হচ্ছে, আজই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
গতকাল দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পূর্বমধ্য ভারত ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় ২৫ আগস্ট; ত্রিপুরা, মিজোরাম, আসাম ও মেঘালয় এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ রাজ্যে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও অস্বাভাবিক রকম ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
আজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর আশে পাশে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। যে কারণে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে মনু, খোয়াই, ধলাই নদীর নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীর ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অববাহিকায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়নি। সেখানেও নদ-নদীর পানি সমতল অব্যাহতভাবে কমছে। যে কারণে ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে।
আজ সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মিজোরামে ২২ মিলিমিটার, চেরাপুঞ্জিতে ১২ ও ত্রিপুরায় পাঁচ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ঈশ্বরদীতে ১৭৬ মিলিমিটার। এ সময় চট্টগ্রামে সাত মিলিমিটার, মাইজদীকোর্টে ছয় মিলিমিটার ও কুমিল্লায় সামান্য বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ফেনীতে বৃষ্টিপাতের তথ্য জানতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Comments