নাফ পেরিয়ে শাহপরীতে দলছুট বাচ্চা হাতি

শাহপরীর দ্বীপে থাকা বাচ্চা হাতি। ছবি: সংগৃহীতহ

পাহাড়ের আবাসস্থল ছেড়ে নাফ নদী পার হয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে চলে এসেছে একটি দলছুট বাচ্চা হাতি।

সোমবার সকালে আসা এই বাচ্চা হাতিটিকে বনে ফেরাতে স্থানীয় বন বিভাগের কর্মীরা চেষ্টা চালালেও আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে ফেরানো সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার বশির আহমেদ।

তিনি জানান, হাতিটি বর্তমানে শাহপরীর দ্বীপের উপকূলীয় ঝাউ বন ঘোলার চরে অবস্থান করছে। ৬ কিংবা ৭ মাস বয়সী এই বাচ্চা হাতিটি ধরার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, যাতে হাতিটির কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়।

টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আবুল কালাম সরকার বলেন, 'গতকাল সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে শাহপরীর দ্বীপে হাতিটির অবস্থানের কথা আমারা জানতে পারি। হাতিটি সম্ভবত মিয়ানমার থেকে কোনোভাবে দলছুট হয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে।'

'অতি উৎসাহী মানুষের হই-হুল্লোড়ের কারণে হাতিটা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে রয়েছে। তাই তাকে ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে', বলেন তিনি।

বর্তমানে হাতিটি খুব ক্ষুধার্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'বাচ্চা হাতিটিকে ধরা সম্ভব হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে যেকোনো সংরক্ষিত বনাঞ্চল কিংবা সাফারি পার্কে স্থানান্তর করা হবে।'

বশির আহমেদ বলেন, 'হাতিটি বর্তমানে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমরা কলা গাছ কেটে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রেখেছি, যেন সে খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। তবে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো তাকে পানি খাওয়ানো প্রয়োজন, যা এখনো সম্ভব হয়নি।'

'আমাদের কাছে চেতনানাশক ওষুধ থাকলেও আমরা হাতিটিকে ধরার জন্য তা ব্যবহার করছি না। কারণ এতে বাচ্চা হাতিটির ক্ষতি হতে পারে', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

2h ago