বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, ২ সপ্তাহ সময় চেয়েছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। স্টার ফাইল ছবি

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিট দীর্ঘদিন ধরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ ছিল।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবেও যান্ত্রিক ত্রুটিকে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) পরিচালিত বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা ব্যবহার করে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত তৃতীয় ইউনিটটি দীর্ঘদিন ধরে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ভুগছিল। সঠিক সময়ে মেরামত এবং যন্ত্রাংশ সরবরাহ না করার কারণে এ ত্রুটিগুলো সমাধান করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে।

কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখতে দুটি ইলেক্ট্রো-হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প প্রয়োজন। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে তৃতীয় ইউনিটের দুটি পাম্পের মধ্যে একটি বিকল থাকায় একটিমাত্র পাম্প দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে উৎপাদন চলছিল। একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো সমাধান আসেনি।

৩৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার মেরামত শেষে তৃতীয় ইউনিটটি পুনরায় চালু করা হয়। তবে মাত্র দুই দিন পরই আবারও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সোমবার সন্ধ্যায় সেটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো উৎপাদন কার্যক্রমই বন্ধ রয়েছে।

প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, 'চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় জানানো হয়েছে এবং তারা মেরামতের জন্য দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছে। চীন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পৌঁছালে আবার উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

5m ago