ভোলার গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তর করে শিল্প-প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করবে ইন্ট্রাকো
সঞ্চালন লাইন না থাকায় ভোলা থেকে উত্তোলন করা গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহণ করে শিল্প-কারখানায় সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে রোববার উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের চুক্তি সই হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, 'গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহন করে যে ভার্চুয়াল পাইপলাইন সৃষ্টি হচ্ছে, তার মাধ্যমে দেশের সংকটপূর্ণ এলাকায় দ্রুত গ্যাস পৌঁছে দেওয়া যাবে। ফলে উৎপাদন ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন থাকবে।'
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'ভোলাতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব। কিন্তু সঞ্চালন লাইন না থাকায় তা জাতীয় গ্রিডে আনা যাচ্ছে না। তাই বিকল্প উপায়ে গ্যাস শিল্পে দেওয়া হবে।'
গ্যাস পরিবহনকালে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তিনি জানান, ভোলা-বরিশাল-খুলনা রুটে গ্যাস নেটওয়ার্ক তৈরি নিয়েও সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইন্ট্রাকো সরকারের কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ১৭ টাকা দরে কিনে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা দরে বিক্রি করবে।
ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে তিতাসের আওতাধীন শিল্প-কারখানায় সরবরাহের বিষয়ে গত ১০ মে একটি পরিপত্র জারি করে জ্বালানি বিভাগ। এতে গ্যাসের দাম, বিভিন্ন সংস্থার মার্জিন, গ্যাস সরবরাহকারীর জন্য পালনীয় শর্তের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
Comments