পরিত্যক্ত কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু সোমবার

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি গ্যাসকূপের ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) ও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে এ কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।
বিয়ানীবাজার-১ কূপ পরিদর্শন করছেন এসজিএফএল কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি গ্যাসকূপের ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) ও পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে এ কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) কর্তৃপক্ষ রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০১৬ সালে পরিত্যক্ত হওয়া 'বিয়ানীবাজার-১' কূপটিতে বাপেক্সের সহায়তায় ওয়ার্কওভার শুরু হয় গত ১০ সেপ্টেম্বর। ওয়ার্কওভার শেষে ১০ নভেম্বর কূপটিতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পর সেদিনই নতুন গ্যাস প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে এসজিএফএল।

এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের সময় আমরা ৩ হাজার ১০০ পিএইচ চাপে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রবাহ পেয়েছিলাম। এখন সব কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হবে।'

বিয়ানীবাজার-১ কূপের ৩ হাজার ৪৫০ মিটার গভীর থেকে ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পর ২০১৬ সাল থেকে এটি পরিত্যক্ত ছিল। 

চলমান জ্বালানি সংকট বিবেচনা করে পরিত্যক্ত এ কূপের ৩ হাজার ৪৫১ মিটার গভীর থেকে পুনঃখনন শুরু হয় গত ১০ সেপ্টেম্বর।

এসজিএফএলের অধীনে পরিত্যক্ত গ্যাস কূপগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪টি কূপ (কৈলাশটিলা-২, রশীদপুর-২, রশীদপুর-৫ ও হরিপুর-৭) পুনরায় খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

২০২৩ সালের শেষদিকে এ ৪টি কূপ খনন শুরু হবে এবং সেখানেও গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে বলে ধারণা করছে এসজিএফএল।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান আরও জানান, বিয়ানীবাজার উপজেলায় নতুন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধানে ত্রিমাত্রিক (থ্রি-ডি) সিসমিক সার্ভে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে সার্ভে সম্পন্ন করে গ্যাস প্রাপ্তি সাপেক্ষে নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

Comments