পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান

দৈনিক ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিয়ানীবাজার-১ কূপ পরিদর্শন করছেন এসজিএফএল কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি গ্যাস কূপের ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) শেষে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এ কূপ থেকে শিগগিরই দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ও ১০০ ব্যারেল কনডেনসেট সরবরাহ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শাহীনুর ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিয়ানীবাজার-১ কূপটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে। কূপের ৩ হাজার ৪৫৪ মিটার গভীর থেকে পরীক্ষা করে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক অবস্থায় ১০ মিলিয়ন গ্যাস প্রবাহ হচ্ছে এবং গ্যাসের চাপ রয়েছে ৩ হাজার ১০০ পিএইচ।'

বিয়ানীবাজার-১ কূপটির ৩ হাজার ৪৫০ মিটার গভীর থেকে ৩৫ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন শেষে ২০১৬ সাল থেকে পরিত্যক্ত ছিল। দেশে চলমান জ্বালানি সংকটের মধ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর কূপটির পুনঃখনন শুরু করে এসজিএফএল।

এসজিএফএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, 'কূপটিতে আগামী ৩ দিন পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা শেষে তখন এ কূপ থেকে কী পরিমাণ গ্যাস দিতে পারব, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, আপাতত মনে হচ্ছে দৈনিক ৭ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এবং প্রায় ১০০ ব্যারেল কনডেনসেট সরবরাহ করা যাবে।'

বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রকৌশলী শাহীনুর বলেন, 'বিয়ানীবাজারে আমাদের থ্রি-ডি (ত্রিমাত্রিক) সিসমিক সার্ভে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।'

'এসজিএফএলের অধীনে থাকা পরিত্যক্ত গ্যাস কূপগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪টি কূপ (কৈলাশটিলা-২, রশীদপুর-২, রশীদপুর-৫ ও হরিপুর-৭) পুনরায় খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষের দিকে এ ৪টি কূপের খনন শুরু হবে এবং সেখানেও গ্যাস প্রাপ্তির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

4h ago