গ্যাস উত্তোলনে অনেক ড্রিলিং করেছি, পাইনি: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। স্টার ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সম্পদ নিজেদের গ্যাস ব্যবহারে চেষ্টার কোনো কমতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বিদ্যুৎ ভবনের আয়োজিত 'বাংলাদেশে জ্বালানি নিরাপত্তা: অস্থীতিশীল আন্তর্জাতিক বাজার' শীর্ষক সেমিনারে আজ রোববার দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, আজকের পরিস্থিতি যেটা এসেছে সেটা বিশ্ব পরিস্থিতির বাইরে না। এটা কোনো একটা দেশ এককভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করেনি। সারা বিশ্বে সব ক্ষেত্রে যে মন্দাভাব সেই আঘাত আমাদের দেশে এসেছে। এটা আমরা সবাই বুঝি। কেউ কেউ বুঝেও ভান ধরে থাকেন না বোঝার। কেউ কেউ প্রকাশ্যে বলেন, অনেক বিশেষজ্ঞ অনেক রকম তথ্য দেন। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের অবস্থান থেকে তারা নিজেদের মতো কথা বলেন। সমাধান আকারটা বিগত দিনেও তারা করতে পারেননি, এখনো পারেন না।

তিনি বলেন, আমরা খুবই ভালো ছিলাম, বিদ্যুৎ বিভাগ শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সেই পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলেছেন। এই বিদ্যুৎ বিভাগ তার ফল স্মরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেছে। প্রতিটি গ্রামে আমরা বিদ্যুতায়ন করে ফেলেছি। জ্বালানির ব্যাপারে যতদূর সম্ভব...আমাদের এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশিষ্ট ভূ-তত্ত্ববিদরাই কাজ করেন। এই প্রতিষ্ঠানে বহু বিখ্যাত ভূ-তত্ত্ববিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তাদের কথায়, বিভিন্ন ভূ-তত্ত্ববিদদের কথায় এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কেউ বলেছে গ্যাস নেই, কেউ বলেছে গ্যাস আছে। এখন যদি আরও ৫ জন ভূ-তত্ত্ববিদ আনেন, তারা বলবেন এখানে আর গ্যাস পাওয়া যাবে না। আমরা পড়েছি দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে। আমরা সিদ্ধান্তে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না; প্রতিবছরই আমরা নির্দিষ্টভাবে, বিভিন্নভাবে এক্সপ্লোরেশনে যাচ্ছি। কখনো কম, কখনো বেশি এটা নির্ভর করে আমাদের অর্থের ওপর। একটা ড্রিলিং যদি করতে হয় ৯ থেকে ১৬ মিলিয়ন ডলার দরকার হয়, না-ও পেতে পারি। অনেক ড্রিলিং করেছি, পাইনি।

আমরা ডিপ সিতে এ পর্যন্ত ৩টি কোম্পানিকে কাজ দিয়েছি। মিয়ানমার বর্ডারে যারা কাজ করেছে, তাদেরও কাজ দিয়েছি। তারাই যদি বলে এটা সঞ্চালন করতে গিয়ে ফিজিবল না, আমাদের তো কিছু করার নেই। যেসব কোম্পানি আসে তারা নিজেরা বিনিয়োগ করে গ্যাস উত্তোলন করে যে গ্যাস পাবে তা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবে। বাকিটা আমাদের কাছে বিক্রি করবে এবং তাতে তাদের সম্পূর্ণ বিনিয়োগ উঠে আসতে হবে। তার থেকে কম টাকায় যদি বিশ্বের অন্য জায়গায় গ্যাস পায়, তাহলে উনারা কাজ করেন না। আমরা বলেছি, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দেবো তারপরও তারা থাকলেন না। মিয়ানমারে তারা খুব স্বস্তায় পেয়েছে। মিয়ানমার যে দামে গ্যাস বিক্রি করে দিয়েছে, তাদের নিজস্ব সম্পদ আমরা তো সেটা পারি না। এটা আমাদের নিজেদের গ্যাস, নিজেরা ব্যবহার করতে চাই। সুতরাং বুঝতে হবে যে, চেষ্টার কোনো কমতি নেই—বলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

6h ago