ঘূর্ণিঝড় মোখা

চট্টগ্রামের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রামে বন্ধ থাকা একটি কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য আঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর অনুরোধে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা আজ রোববার বন্ধ রেখেছে বলে জানা গেছে।

বিজিএমইএ সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে বিজিএমইএ থেকে চট্টগ্রামের সব সদস্যদের কাছে একটি নোটিশ জারি করা হয়। এতে বলা হয় ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে শিল্প কারখানা ও গ্যাস পাম্পগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় কারখানার বয়লার চালানো যাচ্ছে না। তদুপরি, শ্রমিকদের যাতায়াতের গাড়ি গ্যাস চালিত হওয়ায়, শ্রমিকেরা যাতে কর্মস্থলে যাতায়াতের  দুর্ভোগ থেকে রেহাই পায়, সেজন্য আজ রোববার চট্টগ্রামের কারখানাগুলো বন্ধ রাখা হোক।

বিজিএমইএ সূত্রে আরও জানা যায়, এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রামে প্রায় ৭০ ভাগ তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।

জানতে চাইলে, বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, এতে করে এমনিতেই কারখানাগুলিতে তেমন কাজ হচ্ছে না, তার ওপর গ্যাস পাম্পগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের যাতায়াতের গাড়িগুলোও ঠিকমতো ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ইপিজেডসহ ৩৭৫টি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৬০ ভাগই আজকে বন্ধ রয়েছে। বাকি যেগুলো খোলা আছে, সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।

নজরুল বলেন, চট্টগ্রামে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে প্রায় সাত লাখ শ্রমিক কাজ করেন।

বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যদিও বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ আছে আজকে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ঠিকমতো সমন্বয় করা গেলে সিদ্ধান্ত শতভাগ কার্যকর করা যেত।

'অনেকের হয়তো জরুরি পণ্য জাহাজীকরণের তাড়া রয়েছে, তাদের কারখানা খোলা রাখতে হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'বিজিএমইএ শুধু অনুরোধ করতে পারে, কিন্তু কোনো সদস্যের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। তাই জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজন।'

তবে ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা উচিত।

তিনি বলেন, বেশিরভাগ শ্রমিক বস্তি এলাকায় বসবাস করেন। অনেকেই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করেন। তাদের তো পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

শ্রমিকেরা যদি এই সময় কাজে আসে, তবে তারা তো পরিবারের চিন্তায় ঠিকমতো কাজে মনোযোগ দিতেও পারবে না, তিনি বলেন, তাই শ্রমিকদের নিজেদের ও তাদের পরিবারের সুরক্ষার বিষয়টি চিন্তা করে এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা উচিত।

Comments

The Daily Star  | English

‘July Warriors' tax-free income limit to be Tk 525,000 from FY27 

The tax-free income limit for war-wounded freedom fighters has been increased to Tk 525,000 from FY27 from Tk 500,000 at present.

39m ago