বরিশাল বিভাগে ১৬ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতি
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রস্তুতি হিসেবে বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে ৩ হাজার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১৬ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এ ছাড়াও, ঘূর্ণিঝড়ের সময় গবাদি পশুদের রক্ষায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫টি মুজিব কিল্লা।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় গঠন করা দুর্যোগ কমিটির সভায় আজ এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ভোলা ও পটুয়াখালীর চরসহ দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে ও দূরের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর থেকে ভোলার ঢালচর, মনপুরা, চরনিজাম ও পটুয়াখালীর রাঙাগাবলী, গলাচিপা, চরবিশ্বাস থেকে থেকে কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে বরিশাল বিভাগের সব গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে আজ বৈঠক করেন বিভাগীয় কমিশনার। তিনি বলেন, সব দপ্তরের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি ও করণীয় সম্পর্কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো মূল্যে টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, বরিশাল বিভাগে ২ হাজার ৮০৮ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৬০ লাখ টাকা ও ৫৪৩ বান্ডেল ঢেউটিন বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৯ হাজার ৪২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৩৫৭টি মেডিকেল টিম এবং গবাদি পশুর জন্য ২১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সাগর থেকে ফিরে আসেনি এমন মাছধরা ট্রলার ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর উপপরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, তাদের ৩২ হাজার ৫২০ জন স্বেচ্ছাসেবক উপকূলীয় ১৬টি উপজেলায় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য মাইকিং করছে। মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সিপিপি সদস্যরা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।
বরিশাল বিভাগের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মুজিবুর রহমান জানান, বিভাগে ১০ কিলোমিটার বাঁধ অতি ঝুঁকিপূর্ণ। আংশিক ঝুঁকিতে আছে আরও ৩০ কিলোমিটার বাঁধ। এগুলো মেরামতের কাজ চলছে। বিশেষ করে পটুয়াখালীর, লালুয়া ও ভোলায় বিভিন্ন এলাকায় এই কাজ চলছে।
Comments