বাতাসের মানের ওপর নির্ভর করবে ঢাকা শহরের বাসযোগ্যতা: পিটার হাস

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ফাইল ছবি

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ঢাকার অস্বাস্থ্যকর বাতাস শুধু স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের বিষয় নয়, এটি নগরীর টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে 'ক্লাইমেট অ্যাকশন চ্যাম্পিয়নস' শীর্ষক এক ইভেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এখানকার বাতাসের মান প্রায়শই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ থাকে।

তরুণদের সামাজিক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জেনল্যাবের সঙ্গে মার্কিন দূতাবাস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। বাতাসের মান ভালো করার একটি যৌথ সমাধান সূত্র খুঁজতে তরুণ জলবায়ু কর্মীদের নিয়ে এই ছিল এই আয়োজন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজনে অংশ নেন বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলংকার ৫০ জন তরুণ জলবায়ু কর্মী।

পিটার হাস বলেন, ঢাকার বাতাসের মানের সমস্যাটি অনেক দিনের। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ঢাকার মতো শহরগুলোতে বায়ুদূষণের স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমাধান বের করা এখন বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র তা সমর্থন করে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমন ও টেকসই ভবিষ্যতের পথে উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্র একগুচ্ছ উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ ও নীতিমালা গ্রহণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী কী ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তা আগাম নিরূপণ ও সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো এবং জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় একটি বিস্তৃত উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে আছে প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো তৈরি, দক্ষতা বৃদ্ধি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, পরিবেশগত ন্যায়বিচার, নিয়ন্ত্রণমূলক উদ্যোগ, জলবায়ু কূটনীতি, কার্বন মূল্য নির্ধারণ এবং আর্থিক প্রণোদনা।

তিনি আরও বলেন, কোনো দেশ এককভাবে জলবায়ু সংকট সমাধান করতে পারে না এবং তাই অবশ্যই সবাইকে নিজেদের ভূমিকাটুকু পালন করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

10h ago