বিদ্যুৎহীন ফেনীর সব সড়ক প্লাবিত, মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, ত্রাণকাজ ব্যাহত

রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় ত্রাণকাজের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

ফেনীর বেশীরভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে আছে গত দুইদিনে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে অধিকাংশ এলাকা। 

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাও প্রায় ভেঙে পড়েছে। এ কারণে দুর্গত এলাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সড়কগুলো প্লাবিত হয়ে যাওয়ায় ত্রাণকাজ ব্যহত হচ্ছে।

ফেনী পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বেশিরভাগ সড়ক বর্তমানে পানির নিচে। কোথাও কোমর সম্মান, কোথাওবা হাঁটুপানি। 

ফেনী শহরের কেন্দ্রস্থল শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে পানির উচ্চতা কোথাও কোথাও কোমর সমান।

পিকআপে স্পিডবোট তোলা যাওয়া হচ্ছে ত্রাণকাজে যাওয়ার জন্য। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

কিছু এলাকায় বুধবার রাতে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।  

ফেনী শহরের মিজান রোড, একাডেমি রোড, মাস্টারপাড়া, উকিলপাড়া, সহদেবপুর, বড় বাজার, মিজান রোড, নাজির রোড, গুদাম কোয়ার্টার, বাঁশপাড়া, কদরগাজী রোড, শান্তি কোম্পানি সড়ক, বারাহীপুর রেল ক্রসিং, সালাউদ্দিন সড়কসহ প্রায় সব সড়কই এখন পানির নিচে।

মিজান রোডে ফেনীর ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় হাঁটুপানি। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন  ইফতেখারুল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার শ্বশুর হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালের সামনে এখনো কোমর সমান পানি। পানি কমার কোনো চিহ্ন নেই। গতকাল থেকে পানি আরও বেড়েছে।'

রেলগেট এলাকার বাসিন্দা মাইমুনা আক্তার বলেন,‌ 'পানির কারণে হাসপাতাল থেকে লাশও বের করতে পারছে না।'

গতকাল রাত থেকে ফেনীর সদর হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

ফেনী পৌর এলাকার সদর হাসপাতাল মোড় থেকে কাজীরবাগ পর্যন্ত এলাকায় এখন গলা সমান উঁচু পানি। 

জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলা বর্তমানে পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন। এসব এলাকায় সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড ও বিজিবির সহযোগিতায় দিনভর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চলেছে। 

ব্যক্তি উদ্যোগে ফুলগাজী ও পরশুরামে ত্রাণকাজে যাওয়া স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো জ্বালানির অভাবে শহরে ফিরে এসেছে। 

লক্ষ্মীপুর থেকে ৭ বন্ধুর সঙ্গে স্পিডবোটে করে ছাগলনাইয়া উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে ত্রাণ নিয়ে যান কাউসার হোসেন। জ্বালানির অভাবে ও রাত হওয়ায় একপর্যায়ে শহরে ফিরে আসেন তারা। 

কাউসার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের এখন তেল জোগাড় করতে হবে। নয়তো স্পিডবোট নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এদিকে রাত ও হয়ে গেছে। গ্রামের মানুষ ভয়াবহ অবস্থায় রাত কাটাচ্ছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

3h ago