বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও করণীয় বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১২ সিদ্ধান্ত
চলমান বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও বন্যা পরবর্তী করণীয় বিষয়ে ১২ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার কৃষিসচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে এক অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসবের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বাড়ানো ও পুনর্বাসন কর্মসূচি জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার সমন্বয়ে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে।
সভায় নেওয়া ১২ সিদ্ধান্ত হলো:
১. অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, উপজেলা কৃষি অফিসার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারদের নিয়ে টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. চলমান কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি জোরদার করতে হবে।
৩. বন্যায় ক্ষতি মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত জাতের আমন ধানের বীজের পর্যাপ্ত সংস্থান ও সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় আপৎকালীন বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।
৫. নাবী জাতের রোপা আমন ধান চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিতে হবে।
৬. নাবী জাতের ধানের বীজ দেশের বন্যামুক্ত এলাকা থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরবরাহের ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. বন্যাকবলিত ঝুঁকিপূর্ণ গুদামে রক্ষিত সার নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে।
৮. আগাম জাতের শীতকালীন সবজি উৎপাদনের বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
৯. বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
১০. বন্যাদুর্গত এলাকার কৃষি অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
১১. বন্যাদুর্গত এলাকার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহের লক্ষ্যে উপজেলা, জেলা, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
১২. বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি অফিসের মালামাল নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।
Comments