গতকাল থেকে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৬০ জন উদ্ধার: ফায়ার সার্ভিস
দেশের বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে গতকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২৬০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৩৯ পুরুষ, ৯৯ নারী (দুজন অন্তঃসত্ত্বা) ও ২২ শিশু।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের নিয়মিত কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় ভলান্টিয়াররাও যোগ দিয়েছেন। উদ্ধারকাজের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখতে ঢাকায় খোলা রয়েছে মনিটরিং সেল।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় মনিটরিং সেলে বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ বিষয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এরপর সকাল ১১টায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অপর এক জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। এসময় তিনি বন্যাদুর্গত এলাকার সার্বিক উদ্ধারকাজের খোঁজখবর নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে বিভাগীয় উপপরিচালকের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি দল এবং ঢাকা ও বরিশাল থেকে ১০ সদস্যবিশিষ্ট আরও তিনটি উদ্ধারকারী দল ফেনী ও বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো হয়।
আজ দুপুরে উদ্ধারকারী দল ওয়াটার রেসকিউ টেন্ডার, টিভি ক্যান্টার গাড়ি, হাইয়েস মাইক্রোবাস, রেসকিউ কমান্ড ভেহিক্যাল, জেমিনি বোট, ইঞ্জিনসহ ইনফ্লোটেবল বোট, লাইফজ্যাকেট, লাইফবোট, রিং বয়া, ডাইভিং সেট, থ্রোয়িং ব্যাগ, রেসকিউ রোপসহ বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ফেনীর উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
আগামীকাল বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্ধারকাজ পরিদর্শনে যাবেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। সঙ্গে থাকবেন পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স)।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানায়, ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণের জন্য হটলাইন নম্বর ১০২ এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু রয়েছে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য মনিটরিং সেলের ০১৭১৩-০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বরে বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরেও কল করা যাবে।
এ ছাড়াও, মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার ফায়ার স্টেশন এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমেও সেবাগ্রহণকারীরা ২৪ ঘণ্টা বন্যা-সংক্রান্ত দুর্যোগে উদ্ধার বিষয়ক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ফায়ার স্টেশনগুলোকে আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
Comments