বাড়ছে সুরমার পানি, সিলেটে আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
মধ্যরাতের টানা বৃষ্টিতে আবারও সিলেট নগরীতে প্রবেশ করেছে সুরমা নদীর পানি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
গতকাল সিলেট নগরীর কাছে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, আজ সোমবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটে আজ ভোর থেকে ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার ভোরে সিলেট নগরীর উপশহর, জতরপুর, মেন্দিবাগ, জামতলা, তালতলা, শেখঘাট, কলাপাড়া মজুমদার পাড়া, লালদিঘিপাড়, মাছিমপুরসহ বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
মাঝরাতে হঠাৎ করে বাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
সিলেট নগরীর লালদীঘিরপাড় এলাকার মামুন আহমেদ জানান, ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বেশ কয়েকটি উপজেলার অবস্থা খারাপ। এদিকে কয়েকদিন ধরেই উপচে পড়ছে সুরমা নদীর পানি। টানা বৃষ্টিতে আজ আমাদের ঘরে পানি ঢুকে গেছে।
তিনি বলেন, 'চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হলে আমরা বিপদে পড়ে যাই। গতকাল থেকে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হচ্ছে এবং আমাদের বাড়িতে পানি ঢুকছে। আমি আমার পরিবার নিয়ে বড় বিপদে আছি।'
নগরীর জামতলা এলাকার বাসিন্দা সাদেক হোসেন জানান, বাড়িতে হাঁটু পর্যন্ত পানি। আসবাবপত্রসহ অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র পানিতে তলিয়ে গেছে। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর যদি নদীটি খনন করা হতো তাহলে আমাদের মতো বাসিন্দাদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনেও দেখা যায় পানি। সেখানে রোগীর স্বজন, চিকিৎসকদের বন্যার পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায়।
সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, রোববার বিকেলে সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেট নগরী সংলগ্ন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। কিন্তু রাতের এই প্রবল বর্ষণে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট শহরে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।
Comments