বিপৎসীমার ৩ ফুট ওপরে খুলনার নদ-নদীর পানি

দুপুরের জোয়ারে শিবসা নদীর পাশে নলিয়ানের ও কালাবগির পাশে ঝুলন্তপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গা তলিয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাকবাড়িয়া নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিতে গ্রামরক্ষা বাঁধ। জোয়ারের পানির চাপে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পানিতে প্লাবিত হবে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। খুলনা কয়রা উপজেলার গাব্বুনিয়া গ্রাম থেকে আজ রোববার তোলা ছবি। ছবি: হাবিবুর রহমান/ স্টার

ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই খুলনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, খুলনার নদ-নদী বিপৎসীমার ৩ ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পশুর নদীতে পানি প্রবাহের বিপৎসীমা ১ দুই দশমিক ৪৫ মিটার। আজ তা বেড়ে হয়েছে ২ দশমিক ১৭ মিটার।

খুলনার সবচেয়ে বড় নদী শিবসার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ থাকে ১ দশমিক ৭৬ মিটার। এর বিপৎসীমা ১ দশমিক ৩৭ মিটার। আজ সেখানে প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৯৪ মিটার ওপর দিয়ে। কপোতাক্ষ নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৯৫ মিটার। আজ বিপদ সীমা ছাড়িয়ে ২ দশমিক ৪৭ মিটারে পৌঁছেছে। খুলনার দাকোপের সুতোর খালি এলাকায় ভদ্রা নদীর বিপৎসীমা ১ দশমিক ৭০ মিটার হলেও সেখানে আজ বিপৎসীমা অতিক্রম করে করেছে। সাতক্ষীরার প্রতাপনগর এলাকায় খোল পেটুয়া নদীর বিপদসীমা ১ দশমিক ৪৫ মিটার। আজ বিপৎসীমা ছাড়িয়ে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৪৪ মিটারে।

দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মনসুর আলী খান সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দুপুরের জোয়ারে শিবসা নদীর পাশে নলিয়ানের ও কালাবগির পাশে ঝুলন্তপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গা তলিয়ে গেছে।

আজ কয়রা উপজেলার কাঠ কাটা লঞ্চঘাট, উত্তর বেদকাশী ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের কয়েক জায়গা দিয়ে বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। স্থানীয় মানুষ বেড়িবাঁধের উপর মাটি দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেছে। তবে রাতের জোয়ারে জোয়ারে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছের আলী বলেন, 'যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ সেখানে কাজ না করে ভালো জায়গায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আমার ইউনিয়নে ১৪ কিলোমিটার এর মধ্যে ৫ কিলোমিটার বাঁধ জরাজীর্ণ। ইউনিয়নের, গোলখালী থেকে কোবাদক, কোবাদক থেকে ঘড়িলাল, ঘড়িলাল থেকে চরামুখা খেয়াঘাট, খেয়াঘাট থেকে হলদিবুনিয়া পর্যন্ত বেশি ঝুঁর্কিপূর্ণ। যেভাবে নদীতে পানি বাড়ছে তাদের যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।'

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ আশরাফুল আলম বলেন, 'কয়রা বাদে অন্যান্য উপজেলার বেড়িবাঁধ অতটা নাজুক নয়। জলোচ্ছ্বাস না হলে বাঁধের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। গেল জোয়ারে নদীতে পানি বেড়েছে এবং পানির চাপ খুব বেশি বেড়েছে। তবে ভাটায় আবার পানি কমে যাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Quota protests: Students block Shahbagh intersection for 90 minutes

Several hundred students briefly blocked Shahbagh intersection in the capital this afternoon for the second consecutive day demanding reinstatement of the quota system in government jobs

1h ago