কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের তীর রক্ষা বাঁধে ধস
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল এলাকার নদের ডানতীর রক্ষা বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকায় বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার অংশ জুড়ে এ ধস দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাল ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধটির ধস ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কয়েকদিন ধনে পানি বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র নদে। তীরের কাছে নদের গভীরতা আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কাঁচকোল এলাকায় তীররক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার অংশে ধস দেখা দিয়েছে।
কাঁচকোল এলাকার কৃষক নজর আলী শেষ (৬৫) শনিবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ডানতীর বাঁধের জন্য তারা ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছেন। বাঁধটিতে ধস দেখা দেওয়ায় তারা ভয়ে আছেন। যদি বাঁধটি ধসে যায় তাহলে বন্যা আর ভাঙনে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বেন।
রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঁধটি রক্ষা না হলে তার ইউনিয়নের অর্ধেক এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে পড়বে। বিপুল পরিমানে আবাদি জমি, বসতভিটা ও স্থাপনা বিলীন হবে ব্রহ্মপুত্র নদে। এ বাঁধটি ভেঙে গেলে চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন স্থান বন্যা ও ভাঙন ঝুঁকিতে পড়বে।
'পানি উন্নয়্ন বোর্ডের সাথে স্থানীয়রাও বাঁধটির ধস ঠেকাতে কাজ করছেন,' তিনি বলেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাঁধটিতে ধস ঠেকাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাস্পিং করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাঁধটি ধসে যাওয়ার হুমকি থেকে মুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমানে জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় ধসে যাওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিলে এসব জিও ব্যাগ তাৎক্ষণিক ব্যবহার করা হবে।
বাঁধটিতে ধস ঠেকানো না গেলে চিলমারী উপজেলার কয়েকটি এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে পড়বে তাই যেকোন উপায়ে হোক বাঁধটি ধ্বসমুক্ত রাখতে হবে বলে তিনি জানান।
Comments