কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে

তিস্তার পানি
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে। ছবিটি ১৫ আগস্ট ২০২৩ এ তোলা। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ বুধবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া তিস্তা সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৭৬ মিটার যা বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে।

লালমনিরহাটে তিস্তাপাড়ে বন্যা উপদ্রুত এলাকা থেকে নামতে শুরু করেছে নদীর পানি।

আপাতত তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যা আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এ ছাড়া, ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে আছে।'

'সব নদ-নদীর পানি ব্রহ্মপুত্রে পড়ে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার নিচে থাকায় সব নদ-নদীর পানি দ্রুত কমছে।'

'আপাতত কুড়িগ্রাম বন্যা পরিস্থিতির কোন আশঙ্কা নেই,' যোগ করেন তিনি।

তিস্তার পানি
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তা। ছবিটি ১৫ আগস্ট ২০২৩ এ তোলা। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লালমনিরহাটে তিস্তাসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তিস্তাপাড়ে বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে যাচ্ছে।'

পানি কমে যাওয়ায় তিস্তাপাড়ে ভাঙন পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর গ্রামের কৃষক সুবল চন্দ্র বর্মণ (৬০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়ি-ঘর থেকে নদীর পানি নেমে গেছে। তবে খেতের ফসল এখনো পানির নিচে।'

বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ভাঙন পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করেন তিনি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকার কৃষক সোহরাব আলী (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তিস্তাপাড়ে আমন খেত এখনো পানির নিচে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে খেত থেকে পানি না নামলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে।'

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তাপাড়ে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় আমন খেত পানির নিচে। এতে তেমন ক্ষতি হবে না। আমন ধানের গাছ পানির নিচে ৭-৮ দিন থাকলেও ক্ষতি হয় না। কৃষি বিভাগ থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ফসলের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago