৪ দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ বরিশাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত

বরিশাল নগরীর বটতলা এলাকায় জলাবদ্ধতা। ছবি: স্টার

বরিশালে গত ৪ দিনের বৃষ্টিতে নগরীর নিচু এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর নিচু এলাকার বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। 

জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরীর রুপাতলী হাউজিং, বটতলা, পলাশপুর ও বাংলাবাজারসহ বহু এলাকার বাসিন্দারা।

বটতলা এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের প্রতিটি বাড়ির নিচতলা ডুবে গেছে। রাস্তায় পানি জমায় জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।'

জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর অক্সফোর্ড মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে বলে স্কুল সূত্রে জানা গেছে।
 
এ ছাড়া, সদর উপজেলার ভেদুরিয়া, চরবাড়িয়া, চন্দ্রমোহনের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি জমায় পাঠদান ব্যাহত হয়েছে বলে জানান সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফয়সাল জামিল।

তিনি বলেন, 'সদর উপজেলার ২০৩টি স্কুলের মধ্যে বেশ কিছু স্কুলে পানি উঠেছে, তবে প্রকৃত সংখ্যা আমরা এখনো জানতে পারিনি।'

জলাবদ্ধতার কারণে সরকারি ব্রজমোহন কলেজেও পাঠদান ব্যাহত হয়েছে।

জলাবদ্ধতা নিরসনে আজ বুধবার সরকারি ব্রজমোহন কলেজের জীবনানন্দ দাশ মুক্ত মঞ্চের সামনে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থী বিজন সিকদার বলেন, 'সামান্য বৃষ্টিতেই ব্রজমোহন কলেজ পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। দীর্ঘসময় এই পানি জমে জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে, যা বর্তমানে অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল না থাকায় প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা। এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে হাঁটু সমান পানি পাড়ি দিয়ে যেতে হয়।' 

বরিশাল নগরীর বাসিন্দা মানবেন্দ্র বটব্যাল বলেন, 'একসময় বরিশাল নগরীতে ২৪টি খাল ছিল। কিন্তু এখন ৩টির বেশি সচল নেই। এর ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় রূপ নেয় বরিশাল। বিশেষ করে বটতলা এলাকায় খাল ভরাট করে দোকান করায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে।' 

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ বলেন, 'গত ৫ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩১৬ দশমিক শূন্য ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এ বছর অনেক বেশি থাকায় পানিতে ডুবেছে নিম্নাঞ্চল।'

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, 'বরিশালের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা নিরসনে অতিরিক্ত শ্রমিক কাজ করছে। অল্প সময়ে এই পানি নেমে যাবে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago