ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

কক্সবাজারে ৫৭৬ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, ১০৪টি মেডিকেল টিম গঠন

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ৬ লাখ ৫ হাজার ২৭৫ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোলা হয়েছে ৯টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৪টি মেডিকেল টিম। এছাড়াও মজুত আছে ৩২৩ মেট্রিক টন চাল, ৮ লাখ ২৫ হাজার নগদ টাকা ও ১ হাজার ১৯৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৫০ কার্টুন ড্রাই কেক, ৪০০ কার্টুন ডাইজেস্টিভ বিস্কুট।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঝড়ের পূর্বেই মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুত, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, একইসঙ্গে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। এছাড়া জেলার সকল সরকারি ও আধা-সরকারি দপ্তরে কর্মরত কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বক্ষণিকভাবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দল, কোস্টগার্ড সদস্য, নৌপুলিশ সদস্য, ২ হাজার ২০০ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক এবং ৮ হাজার ৬০০ জন সিপিপি সদস্য প্রস্তুত আছেন। সাইক্লোন সেন্টারে সম্ভাব্য আশ্রয় গ্রহীতাদের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে 'সিত্রাং' বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা আছে। এটি উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিলে ৭৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত ১৯টি উপকূলীয় জেলায় আঘাত হানতে পারে। উপকূলের আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, 'কক্সবাজারে যেসব পর্যটক অবস্থান করছেন এবং সমুদ্র সৈকতে বেড়াচ্ছেন তাদের কেউ যেন সাগরে নামতে না পারেন সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। টুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও লাইভগার্ড কর্মীদের সার্বক্ষণিক সর্তকাবস্থায় রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
IMF Reforms proposal

IMF sees brighter days for Bangladesh from FY26

The International Monetary Fund (IMF) today said that the country’s economic scenario may turn positive in fiscal year 2025-26 with the inflationary pressure easing and economic growth picking up. .The multilateral lender attributed several government measures to their forecast of the posi

31m ago