পিরোজপুরে ২৯৫, ঝালকাঠিতে ৬২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতির জন্য বিকেলে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার রাতেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে রেমাল।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতির জন্য আজ বিকেলে পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় জেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ আক্রান্তদের আশ্রয়ের জন্য ২৯৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের কাছে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, ৬১১ টন চাল, ১ হাজার ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৯৭ ব্যান্ডেল টিন মজুদ রয়েছে।

আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ৬৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সার্বিক যোগাযোগের জন্য মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

অন্যদিকে ঝালকাঠিতে প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে আশ্রয়ের জন্য জেলায় ৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৮২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে ৩৭টি মেডিকেল টিম এবং উদ্ধারকাজের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ৮টি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

দুর্যোগ আক্রান্তদের সহযোগিতায় নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মূহুর্তে বিতরণের জন্য ৪০০ টন চাল মজুদ আছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।

সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিলের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ঝালকাঠিতে ছয়টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Exports grow 8.58% in FY25

However, June’s shipment fell 7.55% year-on-year

29m ago