ফরিদপুরে পদ্মায় ভাঙন, হুমকিতে বিদ্যালয়-কমিউনিটি ক্লিনিক-মসজিদ

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙন। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহে পদ্মা নদীর ভাঙনের ফলে ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রাম এলাকার ৪১টি বসতভিটা এবং অন্তত ১১ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঠের সেতু থেকে কলাবাগান যাওয়ার সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার।

ওই এলাকার নদীর পাড়ের ৩ কিলোমিটার এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ভাঙন থেকে বর্তমানে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে আছে চর টেপুরাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গী জামে মসজিদ। এর মধ্যে জামে মসজিদ ও কমিউনিটি ক্লিনিকটি পাকা এবং বিদ্যালয়টি সেমি পাকা।

ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক দুলাল শেখ (৬৫) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নদীগর্ভে তার বসতভিটা বিলীন হয়েছে। ভিটায় মোট ৪টি ঘর ছিল।

এলাকার বাসিন্দা শাহেদা বেগম (৩০) জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে তার বসতভিটা বিলীন হয়েছে। সেখানে ৩টি ঘর ছিল। তারা দূরে অন্যের জায়গায় আপাতত থাকছেন।

ওই এলাকার বাসিন্দা চাঁন মিয়া (৩৫) বলেন, এবার নিয়ে তার বসতভিটা গত ২ বছরে ২ দফা ভাঙনের মুখে পড়ল।

নদীর পাড়ের ৩ কিলোমিটার এলাকায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যোগাযোগ করা হলে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভাঙনের বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভাঙনের শিকার ৪১টি পরিবারের একটি তালিকা করে সদর উপজেলায় জমা দেওয়া হয়েছে।'

ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি সরেজমিনে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, 'ভাঙনরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সাহায্য করা হবে।'

জানতে চাইলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভাঙন চলছে ফরিদপুর শহর রক্ষা বাধের বাইরের অংশে। ভাঙনের বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। স্কুল, মাদ্রাসা ও কমিউিনিটি ক্লিনিক যেন না ভাঙে সে বিষয়ে আমারা তৎপর আছি।'

Comments