জাপানে গিয়ে চেরিতে মুগ্ধ জয়া
বাংলাদেশ ও ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের সফল ও নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। ২ বাংলার সফল এই অভিনেত্রীর একাধিক চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায়। বর্তমানে জাপানে আছেন তিনি। প্রথমবার জাপান ঘুরতে গেছেন।
জাপান থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন জয়া আহসান।
জয়া বলেন, এবারই প্রথম জাপানে এসেছি। এখানে এখন চেরি ফুটেছে। চেরির সৌন্দর্যে অপরূপ সুন্দর হয়ে আছে চারদিক। যেদিকে চোখ যায় শুধু চেরি আর চেরি। কী সুন্দর আর কী দারুণ দেখতে!
পারিবারিক ট্যুর এটি। এখানে আসার পর চেরির সঙ্গে দারুণ মিতালি হয়েছে। চেরি ফুল সত্যিই মুগ্ধতায় ভরে দিচ্ছে।
ছোটবেলা থেকেই জাপান নামটি শুনে বড় হয়েছি। জাপান সূর্যোদয়ের দেশ। অনেক দেশে গেলেও জাপানে আগে আসা হয়নি। আসার পর এক শহর থেকে আরেক শহরে ঘুরছি।
তিনি আরও বলেন, হেরিটেজ দেখার তীব্র ইচ্ছা। এখানে এসেও মিস করছি না। মন ভরে দেখছি। এখানকার মানুষও ভীষণ ভালো। খুব মানবিক। দেশটির সবকিছু দেখে যেমন ভালো লাগছে, তেমনি এখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেও ভালো লাগছে।
জাপানে এসে প্রথম দেখা জায়গাটার নাম ভলকানো। আমার প্রথম জাপানে আসার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। এখানকার জাদুঘরগুলোয় গিয়েছি। আমি জাদুঘর ঘুরতে খুব ভালোবাসি। মরি মিউজিয়াম, ডিজিটাল মিউজিয়াম, ফাইন আর্টস অব টোকিও মিউজিয়াম ঘুরে দেখেছি।
টোকিও ঘুরেও খুব ভালো লেগেছে। এই অভিজ্ঞতার কথা অনেকদিন মনে থাকবে।
মাউন্ট ফুজি দেখতে গেয়েছি। বিখ্যাত শহরগুলো ঘুরেছি এবং আরও ঘুরবো।
জাপানিদের খাবারও খুব চমৎকার। তাদের খাবার আমাকে টানে। একটি হোটেলের নাম ইসাকা হোটেল। একটি পরিবার এটি চালায়। ৫ থেকে ৭ জন গেস্ট নেয়। সেখানে খেয়েছি, আড্ডা দিয়েছি। এই স্মৃতি সত্যিই মধুর ও রঙিন।
ভোরবেলা উঠি। তারপর বসে থাকি। জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয়। তারপর ভোরের প্রথম সূর্য দেখি। কী যে ভালো লাগে! আবার সূর্য ডুবে যাওয়ার দৃশ্যও দেখতে ভালো লাগে। এই ভালো লাগার অনুভূতির কথা বলে শেষ করার নয়। জাপানে এসে সূর্যোদয় দেখে মন ভরে গেছে!
অতীতে ক্যালেন্ডারে যেরকম দেখেছি ঠিক যেন সেরকমই দেখতে এই দেশ। যেমনটা গল্পে শুনেছি, ঠিক যেন তাই।
ফুজি পর্বতে গিয়ে সূর্য উঠা দেখেছি। সূর্যাস্তও দেখলাম। সূর্য উঠার ও ডোবার দৃশ্য ছবির মতো সুন্দর।
আজ হিরোশিমায় যাব। আরও নতুন অভিজ্ঞতা জমা হবে জীবনের ডায়েরিতে।
Comments