নারী দিবসে তারকাদের ভাবনা

প্রতি বছরের মতো এবারও এসেছে নারী দিবস। এই দিবসকে ঘিরে নানারকম আয়োজন প্রতিবছরই দেখা করা যায়। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে না। নারীর অধিকারসহ অনেক বিষয় নিয়ে আজকের দিনে আলোচনা হয়। নারী দিবসে কয়েকজন তারকা কথা বলেছেন এই দিবসের ভাবনা নিয়ে। জানা যাক তাদের কথা।

ডলি জহুর

মেয়েরা কিন্তু অনেকদূর এগিয়েছে। মেয়েরা কাজ করছে। অফিস করছে। সংসার করছে। মা হচ্ছে। এক হাতে অনেককিছু সামাল দিচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা একজন মেয়ে প্রথমে মা। তারপর অন্যকিছু। একটা সময় ছিল মেয়েরা ঘরের বাইরে যেত না, পড়ালেখাও কম করত। সেইসময় পিছিয়ে ছিল খুব। কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই। এখন মেয়েরা অনেক দূর এগিয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। মেয়েরা আরও এগিয়ে যাক, এই দিনে এটাই চাওয়া।

শান্তা ইসলাম

নারীকে ঘরের বাইরে যেতে এখন আর বাধা দেখছি না। প্রতিটি পরিবার চায় তার মেয়ে ভালো কিছু করুক, পড়ালেখা করুক এবং উপার্জন করুক। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারার জন্য চেষ্টা করুক। ২০ বছর আগে নারীর জন্য যেরকম সমাজ ছিল, এখন তা নেই। অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। নারীরা ঘর থেকে বের হয়েছে। তারা সব পেশায় নিয়োজিত আছে। তারা মেধায় কম নয় কারও চেয়ে। কিছু কিছু জায়গায় অসম্ভব মেধাবী তারা। এইসব নারীদের স্যালুট জানাই।

পরীমনি

প্রতিটি পুরুষ যেমন সুন্দর জীবন প্রত্যাশা করে, প্রতিটি নারীর জীবনও সুন্দর হোক। প্রতিটি পরিবারে একজন পুত্র সন্তান যেমন গুরুত্ব পায়, সুযোগ-সুবিধা পায়, একজন নারীও সেটা যেন পায়। নারী ও পুরুষ যেন আলাদা চোখে না দেখা হয়, মানুষ হিসেবে যেন দেখা হয়। পুরুষ হলেই পরিবারে বেশি সুবিধা পাবে—এই ধ্যান-ধারণা থেকে সরে আসতে হবে। নারীরা এখন ঘরবন্দি নেই। তারা জেগে উঠেছে। সমাজের সবখানেই তারা আলো ছড়াচ্ছে। সমাজকে আলোকিত করছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। সব নারীর প্রতি সম্মান জানাই, শ্রদ্ধা জানাই। নারী-পুরুষ মিলেই সমাজটাকে এগিয়ে নিতে হবে। একজন আরেকজনের প্রতি সম্মানটা দেখাতে হবে।

মেহজাবীন চৌধুরী

নারী দিবসের ভাবনা হচ্ছে—নারীরা কোনোরকম বাধা ছাড়া এগিয়ে যাক। তারা মেধাবী। তাদের যোগ্যতাও আছে। সেই মেধা দিয়ে, যোগ্যতা দিয়ে সামনে চলুক। নারী তার যথাযথ সম্মানটা পাক। পরিবার থেকে, সমাজ থেকে যেন কোনো নারী বাধা না পায়। তার জীবন চলার পথটা সুন্দর হোক। নারী দিবসে সকল নারীর জন্য ভালোবাসা ও সম্মান।

বিদ্যা সিনহা মিম

নারীকে প্রথমত মানুষ হিসেবে সম্মান করতে হবে। কেননা, নারী ও পুরুষ—উভয়েই মানুষ। প্রাপ্য সম্মান পেলে নারীরা এগিয়ে যাবে দারুণভাবে। আজকে সমাজের যেকোনো পেশাই দেখি না কেন, নারীরা সেখানে সফলতার প্রমাণ দিয়ে কাজ করছেন। শিক্ষায়ও নারীরা পিছিয়ে নেই। প্রচণ্ড মেধাবী নারী শিক্ষার্থী দেখছি আমরা। তারা যোগ্যতা, চেষ্টা আর মেধা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তাদের প্রতি ভালোবাসাটা অনেক বেশি কাজ করে। এভাবেই নারীরা সামনে এগিয়ে যাক।

তমা মির্জা

প্রতিদিনই আমার কাছে নারী দিবস। নারীর প্রতি যথার্থ সম্মানটা দেখানো হোক। প্রতিটি ঘর থেকে যেন নারীরা সম্মান পায়। ঘরে সম্মান পেলেই সমাজেও সম্মান পাবে। সমাজে সম্মান পেলে দেশজুড়েও পাবে। তাহলেই হবে। একটি ঘরের জন্য পুরুষের যেমন দরকার আছে, নারীরও দরকার আছে। কেউ কারও প্রতিযোগী নয়, বরং সহযোগী। সহযোগিতা ও ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিলেই নারীরা আরও সুন্দরভাবে কাজ করতে পারবে। নারীরা সামনে পথ চলতে পারবে। নারী দিবসে একটাই ভাবনা—তারা ভালো থাকুক।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

2h ago